Dhaka ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

হাসিনা-মোদির বৈঠক শেষ, ৭ সমঝোতা স্মারক সই

  • Update Time : ০৩:১৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক: 

নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উভয় নেতার এই বৈঠক শেষ হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মাঝে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বৈঠক শেষে উভয় দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহার নিয়ে সমঝোতা। এছাড়া দুই দেশের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, উভয় দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে সমঝোতা, রেলের আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সমঝোতা স্মারকের সইয়ের পর উভয় দেশের নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, গত বছর আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছি। আমরা প্রথম মৈত্রী দিবসও উদযাপন করেছি। আগামী দিনে ভারত- বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক টুইটে বলেছেন, ২০১৫ সালের পর দুই নেতা মোট ১২ বার সাক্ষাৎ করেছেন।

টুইটে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বব্যাপী ভারত-বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব পর্যালোচনা এবং আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে তারা ১২ বার সাক্ষাৎ করেছেন। আমাদের নেতৃবৃন্দের নিয়মিত আলোচনা সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গতি যোগ করছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচ্যসূচিতে আঞ্চলিক সংযোগ, জ্বালানি, পানিসম্পদ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছেন অরিন্দম।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হাসিনা-মোদির বৈঠক শেষ, ৭ সমঝোতা স্মারক সই

Update Time : ০৩:১৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সারাদেশ ডেস্ক: 

নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উভয় নেতার এই বৈঠক শেষ হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মাঝে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বৈঠক শেষে উভয় দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহার নিয়ে সমঝোতা। এছাড়া দুই দেশের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, উভয় দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে সমঝোতা, রেলের আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সমঝোতা স্মারকের সইয়ের পর উভয় দেশের নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, গত বছর আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছি। আমরা প্রথম মৈত্রী দিবসও উদযাপন করেছি। আগামী দিনে ভারত- বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক টুইটে বলেছেন, ২০১৫ সালের পর দুই নেতা মোট ১২ বার সাক্ষাৎ করেছেন।

টুইটে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বব্যাপী ভারত-বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব পর্যালোচনা এবং আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে তারা ১২ বার সাক্ষাৎ করেছেন। আমাদের নেতৃবৃন্দের নিয়মিত আলোচনা সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গতি যোগ করছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচ্যসূচিতে আঞ্চলিক সংযোগ, জ্বালানি, পানিসম্পদ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছেন অরিন্দম।