Dhaka ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির অস্ত্রসহ গ্রেফতার

  • Update Time : ০১:০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৬ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : 

নারায়ণগঞ্জের পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।

আজ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব বিস্তারিত জানাবে।

জাকির খান এক সময়ে ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে জড়ানোর পরেই ক্রমশ খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।

জাকির খান দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেরও কাছাকাছি সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করেন। পরে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

সূত্র বলছে, ১৯৮৯ সালে জাকির খানের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কামালউদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে তিনি ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন।

এক পর্যায়ে দেওভোগ এলাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পেছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে শহরে পরিচিত হয়ে উঠেন জাকির খান।

১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে জাকির খান শহরের খাজা সুপার মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলে যান।

একই বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ৭ মাসের মাথায় কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দ্বিতীয় দফায় জাকির খানের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় এবং জেলে যান।

১৯৯৯ সালে স্বল্প সময়ের জন্য জেল থেকে বের হয়ে জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদটি পেয়ে যান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরও প্রায় ৫ মাস জেলে থাকেন জাকির খান।

সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিআরটিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার আততায়ির গুলিতে নিহত হয়। এ ব্যাপারে জাকির খানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তৈমুর আলম খন্দকার।

এরপর জাকির খান নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পাড়ি জমান থাইল্যান্ডে। পরে আবার তিনি দেশে গোপনে ফিরে আসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির অস্ত্রসহ গ্রেফতার

Update Time : ০১:০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সারাদেশ ডেস্ক : 

নারায়ণগঞ্জের পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।

আজ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব বিস্তারিত জানাবে।

জাকির খান এক সময়ে ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে জড়ানোর পরেই ক্রমশ খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।

জাকির খান দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেরও কাছাকাছি সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করেন। পরে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

সূত্র বলছে, ১৯৮৯ সালে জাকির খানের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কামালউদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে তিনি ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন।

এক পর্যায়ে দেওভোগ এলাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পেছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে শহরে পরিচিত হয়ে উঠেন জাকির খান।

১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে জাকির খান শহরের খাজা সুপার মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলে যান।

একই বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ৭ মাসের মাথায় কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দ্বিতীয় দফায় জাকির খানের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় এবং জেলে যান।

১৯৯৯ সালে স্বল্প সময়ের জন্য জেল থেকে বের হয়ে জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদটি পেয়ে যান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরও প্রায় ৫ মাস জেলে থাকেন জাকির খান।

সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিআরটিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার আততায়ির গুলিতে নিহত হয়। এ ব্যাপারে জাকির খানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তৈমুর আলম খন্দকার।

এরপর জাকির খান নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পাড়ি জমান থাইল্যান্ডে। পরে আবার তিনি দেশে গোপনে ফিরে আসেন।