আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
চীনের সাথে চলমান সামরিক–রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান সরকার জানিয়েছে, নিজেদের ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অধিকার তাদের রয়েছে। চীন যদি তাইওয়ানের ভূখণ্ডে সামরিক হামলা চালায়, তবে তা প্রতিরোধ করা হবে। গতকাল বুধবার তাইওয়ান এ ঘোষণা দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাইওয়ানের জেনারেল স্টাফের অপারেশন এবং পরিকল্পনা বিষয়ক ডেপুটি চিফ লিন ওয়েন-হুয়াং এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ১২ নটিক্যাল মাইল সমুদ্র ও আকাশসীমা রয়েছে। এই সীমায় প্রবেশকারী যেকোনো বিমান ও জাহাজকে কোনো ধরনের ছাড় না দিয়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষা এবং পাল্টা আক্রমণের অধিকার প্রয়োগ করবে।’
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চীন। যদিও চীনের এই দাবি বরাবরই নাকচ করে এসেছে তাইওয়ান। এমনকি চীন সরকার তাইওয়ানে অর্থনীতি–রাজনীতিতে পশ্চিমা (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের) প্রভাব বিস্তারের কড়া সমালোচক।
চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর দ্বীপটির চারপাশে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় দেশটি। পেলোসির সেই সফরের পর দুই সপ্তাহ পার না হতেই তাইওয়ান সফরে যান মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর আবারও দ্বীপটির চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন।
তাইওয়ান সরকারের অভিযোগ, মহড়ায় অংশ নেওয়া চীনা যুদ্ধবিমান ও ড্রোন তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করছে। ইচ্ছাকৃতভাবে চীনা যুদ্ধজাহাজ তাদের জলসীমায় ঢুকছে। এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে চীন।
সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং–ওয়েন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘চীনের কাছে নতিস্বীকার করবে না তাইওয়ান। আক্রান্ত হলে অবশ্যই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তার এমন বক্তব্যের পরপরই গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো একটি চীনা ড্রোন লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়েছে তাইওয়ান।
Leave a Reply