Dhaka ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি নেয়ার বিতাল বাতিলের রায় স্থগিত

  • Update Time : ১০:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১ Time View

সুপ্রিয়কোর্ট প্রতিবদেক :
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়ার সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারা বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আনা আবেদন শুনানি আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ১ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন।

আইনের ধারাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আনা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

আজ এডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।

এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি কর্মচারীদের অযথা হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়। মামলার পর তাকে যদি গ্রেফতার করা হয়, পরে তিনি যদি মামলায় খালাস পান, তাহলে তার মধ্যে একধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই ভোগান্তি নিরসন ও সরকারি কাজের সুবিধার জন্য আইনটি করা হয়। এসব দিক সামনে রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করা হয়। আপিল বিভাগ আজ রায়টি স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়।

আইনটির ৪১ (১) ধারার বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

আইনের ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী উল্লেখ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিন আইনজীবী ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারা কেন বাতিল এবং সংবিধানের ২৬,২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না-রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে ফৌজদারি অভিযোগে মামলা হলে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে না বলে সেদিন জানিয়েছিলেন রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি নেয়ার বিতাল বাতিলের রায় স্থগিত

Update Time : ১০:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

সুপ্রিয়কোর্ট প্রতিবদেক :
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়ার সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারা বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আনা আবেদন শুনানি আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ১ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন।

আইনের ধারাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আনা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

আজ এডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।

এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি কর্মচারীদের অযথা হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়। মামলার পর তাকে যদি গ্রেফতার করা হয়, পরে তিনি যদি মামলায় খালাস পান, তাহলে তার মধ্যে একধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই ভোগান্তি নিরসন ও সরকারি কাজের সুবিধার জন্য আইনটি করা হয়। এসব দিক সামনে রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করা হয়। আপিল বিভাগ আজ রায়টি স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়।

আইনটির ৪১ (১) ধারার বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে করা ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

আইনের ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী উল্লেখ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিন আইনজীবী ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারা কেন বাতিল এবং সংবিধানের ২৬,২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না-রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে ফৌজদারি অভিযোগে মামলা হলে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে না বলে সেদিন জানিয়েছিলেন রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

ডিএএম/কেকে//