সারাদেশ ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেনের নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
জুবায়েরের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি প্রক্টরিয়াল বডির। জুবায়ের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ছাত্র বলে জানা গেছে। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন কর্মী।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচলের বিকল্প হিসেবে চক্রাকার বাস চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় গোলচত্বরে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনের এটি হয়। সেখানে জোবায়েরও ছিলেন। মানববন্ধন চলার সময় দুই সহকারী প্রক্টর গোলাম কুদ্দুস ও হাসান মোহাম্মদ মানববন্ধনে থাকা শিক্ষার্থীদের তাদের দাবির বিষয়টি প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে জানানোর প্রস্তাব দেন। শিক্ষার্থীরাও এতে রাজি হন।
পরে অন্তত আট শিক্ষার্থী প্রক্টর কার্যালয়ে যান। কিন্তু জোবায়েরকে আটকে রেখে বাকি সবাইকে চলে যেতে বলেন দুই সহকারী প্রক্টর। পরে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়াও এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ১০ ঘণ্টা আটকে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রক্টরিয়াল বডি। পরে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জুবায়ের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, জুবায়ের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে সহকারী প্রক্টররা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার থেকে একটি ডায়েরি জব্দ করা হয়। সেখানে শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। জুবায়েরের মোবাইলে একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। যেখানে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে জুবায়েরকে হাটহাজারী থানায় সোপর্দ করার পর নিরাপত্তা দপ্তর বাদী হয়ে তার নামে মামলা করে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান শেখ মো. আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ওই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে আটকে রেখে হেনস্তাসহ মামলা দিয়ে পুলিশকে সোপর্দ করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে চবি ছাত্র ফেডারেশন।
Leave a Reply