নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘুষ গ্রহণের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে দেয়া জামিনাদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট এই হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু আপিলের নথিতে জামিন আবেদন না থাকায় একদিন পর জামিনাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরৗ।
এডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন এনামুল বাছির। ইতিপূর্বে ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই আপিলে জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী। আদালত গতকাল জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু নথিতে জামিন আবেদন দেয়া হয়নি। তাই আজ আদালত জামিনাদেশ প্রত্যাহার করেছেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়ে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন।
রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দু’টি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ডিএএম/কেকে//
Leave a Reply