Dhaka ০১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

হাওয়া সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ

  • Update Time : ০৪:০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • / ১ Time View

বিনোদন ডেস্ক:  

হাওয়া’ সিনেমায় একটি শালিক আটকে রাখার দৃশ্য নিয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সিনেমাটির প্রদর্শন নিষিদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) সেন্সর বোর্ডকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার জানান, বন্য প্রাণী হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য থাকায় হাওয়া সিনেমা প্রদর্শন বন্ধে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি সেন্সরবোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কোন সিনেমার ছাড়পত্র প্রদানের পূর্বে চলচ্চিত্রটিতে যেন ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, অশ্লীল গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোন ধারার লঙ্ঘন না হয় সেই ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে।

নোটিশকারি আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দী অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ‘হাওয়া’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে।

এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোনও অনুমতিও নেয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা এবং খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্ত ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনও বার্তা ছিল না। ইতিমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে ১৭ই আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা অতি ভয়ংকর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এছাড়া পুরো ‘হাওয়া’ সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য অশ্লীল গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যবৃন্দ বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়।

এহেন কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুন-তরুনীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নাই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জম্ম দিবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হাওয়া সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ

Update Time : ০৪:০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

বিনোদন ডেস্ক:  

হাওয়া’ সিনেমায় একটি শালিক আটকে রাখার দৃশ্য নিয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সিনেমাটির প্রদর্শন নিষিদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) সেন্সর বোর্ডকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার জানান, বন্য প্রাণী হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য থাকায় হাওয়া সিনেমা প্রদর্শন বন্ধে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি সেন্সরবোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কোন সিনেমার ছাড়পত্র প্রদানের পূর্বে চলচ্চিত্রটিতে যেন ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, অশ্লীল গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোন ধারার লঙ্ঘন না হয় সেই ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে।

নোটিশকারি আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দী অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ‘হাওয়া’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে।

এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোনও অনুমতিও নেয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা এবং খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্ত ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনও বার্তা ছিল না। ইতিমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে ১৭ই আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা অতি ভয়ংকর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এছাড়া পুরো ‘হাওয়া’ সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য অশ্লীল গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যবৃন্দ বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়।

এহেন কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুন-তরুনীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নাই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জম্ম দিবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।