ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে শ্রম আদালতে মামলা চলবে
- Update Time : ০৫:১৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
- / ১ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না-মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আজ খারিজ (ডিসচার্জ) করে রায় দেন।
ফলে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শ্রম আদালতে আনা মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘আদালত রুল ডিসচার্জ করেছেন। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে যাব।’
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভূক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ড. ইউনূসের যে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছিলেন, সেটা সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার পরে সুপ্রিমকোর্ট দুই মাসের মধ্যে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন সেই রুল থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখন যিনি এই মামলার দায়িত্বে আছেন তার পক্ষে মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি দরখাস্ত দাখিলের অনুমতি চেয়েছিলাম। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। সেই আদেশের অনুলিপি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম। আদালত হলফনামা করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী রুল শুনানি হয়।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন। ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারিকরেন। এ আদেশের বিরুদ্ধের রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৩ জুন মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এই সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
ডিএএম/এসএ//