নিরাপদ সড়ক জনগণের অধিকার : মোজাম্মেল হক চৌধুরী
- Update Time : ০৩:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
- / ১ Time View
সারাদেশ ডেস্ক :
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক নিরাপদ এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধ নিশ্চিত করবে সরকার, এটি পাওয়া মানুষের অধিকার।
১২ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সাংবাদিক ও লেখক মো. অলিদ সিদ্দিক তালুকদারকে দেখতে যান যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ নেতৃবৃন্দ। সাংবাদিক অলিদ রাজধানীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধাীন। নেতৃবৃন্দ তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন।
চার বছর আগে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশজুড়ে চলছিল স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সুদীর্ঘ ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চুম্বক দিকগুলো কী ছিল? এ আন্দোলন দেশের কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতার বিষয়টি কীভাবে সামনে নিয়ে আসে? সেই বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার জন্য বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতির পুরোপুরি বাইরে থেকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনটি শুরু হয়। এমন ব্যতিক্রম ধারার শিক্ষার্থী আন্দোলন অবশ্য বাংলাদেশে নতুন নয়। ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সেনা ক্যাম্প উঠিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেন, যা পরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন এবং রানা প্লাজা ধসের পরবর্তী সময়ে শ্রমিকদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের পেছনে শিক্ষার্থীরা ছিলেন অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা ২০২১ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ প্রমাণ করে যে আমাদের কিশোর-তরুণদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা যথেষ্ট গভীর এবং প্রয়োজন পড়লে দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে নামতেও তাঁরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সড়কের সব ব্যাধি এক দিনে তৈরি হয়নি, রাতারাতি তা নিরাময়ও হবে না। কিন্তু গণপরিবহন খাতে যে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা চলে আসছে, সেটি দূর করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ন্যূনতম উদ্যোগ না থাকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি বলেন, পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কোম্পানিভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু এবং লাইসেন্স দিতে নজরদারি বাড়ানোর বিকল্প নেই। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, তার কার্যকারিতা নিয়ে খোদ জাতীয় সংসদেই প্রশ্ন উঠেছিল। যিনি কমিটির প্রধান, সরকারের প্রভাবশালী একজন নেতা তাঁর নেতৃত্বাধীন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনই পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলার জন্য অনেকাংশে দায়ী।
এসএ/কেকে//