সারাদেশ ডেস্ক :
রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসে এখন থেকে ওয়ে বিল বন্ধ হবে, এছড়া চেকার প্রথাও থাকবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এছাড়া এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত বাসের দরজা বন্ধ রাখা এবং রুট পারমিট অনুযায়ী স্টপেজ অনুযায়ী বাস থামাতে একমত হয়েছেন বাস মালিকরা।
সভা শেষে সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় বিআরটিএর চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করা, চার্টের বাইরে ভাড়া আদায় না করা এবং প্রতিটি গাড়িতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করতে সব বাস মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এসব বিষয়সহ অন্যান্য নিয়ম প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মালিক সমিতি পরিদর্শন চালাবে বাসগুলোতে। এজন্য নয়টি পরিদর্শন দল গঠন করা হবে। এই টিম সড়কে যে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তা করবে।
এর আগে গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার, যা শনিবার প্রথম প্রথর থেকে কার্যকর হয়। এরপর শনিবার রাতে বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠক করে নতুন ভাড়ার হার ঠিক করে মালিক সমিতি।
সভায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতি কিলোমিটারে ৩৫ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা। আগে ভাড়া ছিল ২ টাকা ১৫ পয়সা। অপরদিকে দূর পাল্লায় আগের ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সার জায়গায় ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ২০ পয়সা করা হয়।
উল্লেখ্য, নগরীর প্রতিটি রুটেই কয়েক কিলোমিটার পরপর বাস পরিবহনগুলো অনেকদিন থেকে ‘চেক পয়েন্ট’ বসিয়ে যাত্রীর হিসাব রাখে। প্রতিটি পয়েন্টে রাখা হয়েছে কর্মী। বাস ওইসব ‘চেক পয়েন্ট’ অতিক্রম করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখ করে নির্ধারিত একটি শিটে সই করে দেন। এটাকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ভাষায় বলা হয়, ‘ওয়ে বিল’।
Leave a Reply