Dhaka ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

বেড়েছে পৃথিবীর গতি, ২৪ ঘণ্টার আগেই সম্পূর্ণ হচ্ছে এক দিন

  • Update Time : ১০:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
  • / ২ Time View

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : 

সময় ও তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি সৌর দিনের সমান।

পৃথিবীর আবর্তনের গতি গত ৫০ বছর ধরে বাড়ার কারণে গ্রহটির প্রতিটা দিনের মেয়াদ ২৪ ঘণ্টারও কম হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গত ২৯ জুন পৃথিবীর গতি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড কম সময়েই ঘূর্ণন সম্পন্ন করেছে পৃথিবী, সম্পূর্ণ হয়েছে এক দিন।

১৯৭৩ সাল থেকে পারমাণবিক ঘড়ির মাধ্যমে পৃথিবীর ঘূর্ণনে কতটা সময় লাগছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস’ বা ‘আইইআরএস’ নামক সংস্থার নেতৃত্বেই মূলত এই কাজ হয়।

কয়েক বছর আগেও ‘আইইআরএস’-এর বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ক্রমেই ধীর হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর গতি। কিন্তু সম্প্রতি সেই ধারণা বদলে যায়।

বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, দিনের দৈর্ঘ্য ক্রমশ ছোট হচ্ছে। ২০২২-এর ২৯ জুন দ্রুততম গতিতে এক পাক সম্পন্ন করে পৃথিবী। গত ২৬ জুলাইও ২৪ ঘণ্টার থেকে ১.৫০ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে ঘূর্ণন সম্পন্ন করেছে পৃথিবী।

কেন এমন হচ্ছে সে ব্যপারে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। কারও মতে মেরু প্রদেশের বরফের চাদর গলে যাওয়ার ফলে এমনটা ঘটছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, পৃথিবীর অভ্যন্তরের গলিত পদার্থ সরে যাওয়াই এর কারণ।

পৃথিবীর গতিবেগ বৃদ্ধির ফলে ভৌগলিক ভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর পরিণাম গুরুতর হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের মতে, যে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে, পৃথিবীর গতিবেগ বৃদ্ধির ফলে সেগুলোর গতিপথ বিগড়ে যেতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পৃথিবীর গতি আধা-মিলিসেকেন্ড বদলে গেলে, নিরক্ষীয় অঞ্চলে উপগ্রহগুলির অবস্থান সরে যেতে পারে প্রায় ১০ ইঞ্চি।

ইন্টারনেট ব্যবস্থা থেকে জিপিএস প্রযুক্তি, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই নির্ভর করছে এই উপগ্রহগুলির উপর। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, উপগ্রহগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের সমস্যা।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বেড়েছে পৃথিবীর গতি, ২৪ ঘণ্টার আগেই সম্পূর্ণ হচ্ছে এক দিন

Update Time : ১০:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : 

সময় ও তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি সৌর দিনের সমান।

পৃথিবীর আবর্তনের গতি গত ৫০ বছর ধরে বাড়ার কারণে গ্রহটির প্রতিটা দিনের মেয়াদ ২৪ ঘণ্টারও কম হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গত ২৯ জুন পৃথিবীর গতি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড কম সময়েই ঘূর্ণন সম্পন্ন করেছে পৃথিবী, সম্পূর্ণ হয়েছে এক দিন।

১৯৭৩ সাল থেকে পারমাণবিক ঘড়ির মাধ্যমে পৃথিবীর ঘূর্ণনে কতটা সময় লাগছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস’ বা ‘আইইআরএস’ নামক সংস্থার নেতৃত্বেই মূলত এই কাজ হয়।

কয়েক বছর আগেও ‘আইইআরএস’-এর বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ক্রমেই ধীর হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর গতি। কিন্তু সম্প্রতি সেই ধারণা বদলে যায়।

বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, দিনের দৈর্ঘ্য ক্রমশ ছোট হচ্ছে। ২০২২-এর ২৯ জুন দ্রুততম গতিতে এক পাক সম্পন্ন করে পৃথিবী। গত ২৬ জুলাইও ২৪ ঘণ্টার থেকে ১.৫০ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে ঘূর্ণন সম্পন্ন করেছে পৃথিবী।

কেন এমন হচ্ছে সে ব্যপারে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। কারও মতে মেরু প্রদেশের বরফের চাদর গলে যাওয়ার ফলে এমনটা ঘটছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, পৃথিবীর অভ্যন্তরের গলিত পদার্থ সরে যাওয়াই এর কারণ।

পৃথিবীর গতিবেগ বৃদ্ধির ফলে ভৌগলিক ভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর পরিণাম গুরুতর হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের মতে, যে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে, পৃথিবীর গতিবেগ বৃদ্ধির ফলে সেগুলোর গতিপথ বিগড়ে যেতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পৃথিবীর গতি আধা-মিলিসেকেন্ড বদলে গেলে, নিরক্ষীয় অঞ্চলে উপগ্রহগুলির অবস্থান সরে যেতে পারে প্রায় ১০ ইঞ্চি।

ইন্টারনেট ব্যবস্থা থেকে জিপিএস প্রযুক্তি, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই নির্ভর করছে এই উপগ্রহগুলির উপর। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, উপগ্রহগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের সমস্যা।