সারাদেশ ডেস্ক :
দীর্ঘ ৪৮ মাস পর বাংলাদেশিদের জন্য অবশেষে খুললো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। দেশটিতে সোমবার (৮ আগস্ট) থেকে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে।
এদিন রাত ১১টা ৪০ মিনিটে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন ৫৩ কর্মী।
বিমানবন্দরে কর্মীদের ফুল দিয়ে বিদায় জানান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দীন হাজারী, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২০১৮ সালের আগস্টে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধের ঘোষণা আসে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে। দীর্ঘ আলোচনা-যোগাযোগের পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা সই হয়। পরে গত জুন মাসে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে জুনের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ঘোষণা দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের। সব দীর্ঘসূত্রতা কাটিয়ে অবশেষে দেশটিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।
বিএমইটি সূত্র বলছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এসব কর্মী ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার হিসেবে মালয়েশিয়ায় গেলেন। তাদের বেতন ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩২ হাজার টাকা। শর্ত অনুসারে তাদের চুক্তি তিন বছরের। ওয়ান ওয়ে প্লেন ভাড়া, বাসস্থান ও যাতায়াত ফ্রি পাবেন কর্মীরা। তবে খাবার ব্যবস্থা করতে হবে নিজেকে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের উন্মুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ায় আবারও বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। আগে তিন লাখ, চার লাখ, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে মানুষ সেখানে যেতো। আমাদের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় এটা কমে এসেছে।
Leave a Reply