খালাসের পরও কনডেম সেলে ৭ বছর : বিচার বিভাগীয় তদন্তে হাইকোর্ট
- Update Time : ০৫:৩৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অগাস্ট ২০২২
- / ০ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
চট্রগ্রামের লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলায় ৭ বছর আগে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আবুল কাশেমকে কনডেম সেলে রাখার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ৭ আগষ্ট এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
চট্রগ্রামের লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলায় ৭ বছর আগে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আবুল কাশেমকে কনডেম সেলে রাখার ঘটনা তদন্তের গত ৪ আগস্ট
আবেদন করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
‘বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর !’ এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্রগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। কিন্তু আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি ৭ বছর ৩ মাস ১১ দিনও। একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্রগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে এলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম। আবুল কাশেম, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।
২০০২ সালের ৩০ মার্চ রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ২১ (৩১.০৩.২০০২) ও দায়রা নম্বর ৩০৮/২০০৪। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চট্রগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আবুল কাশেম রায়ের সময় পলাতক ছিলেন। গত ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামি শুনানির রায়ে আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেন।
ডিএএম/এসএ//