সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের জামিন আবেদন নথিভুক্ত রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে ১০ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে আনা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) শুনানির জন্য ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, জামিন আবেদন নথিভুক্ত করে রেখেছেন আদালত। আর তার লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ২৩ অক্টোবর দিন রেখেছেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। পুনরায় মুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৯ মার্চ হাইকোর্ট এ রায় দেন। রায়ে ১০ বছরের দণ্ড বহাল থাকলেও তিন বছরের সাজা থেকে খালাস পান তিনি। একইসঙ্গে রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৯ মার্চ প্রকাশিত হয়। রায় প্রদানকারী দুই বিচারপতির সইয়ের পর ৬৮ পৃষ্ঠার রায়ের কপি প্রকাশিত হয়। রায়ে বলা হয়, রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায় অনুসারে গত ২২ মে আত্মসমর্পণ করার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তার জামিন নাকচ করেন। পরে গত ২৪ মে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেন হাজী সেলিম। ৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট আবেদনটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে আজ ১ আগস্ট দিন ধার্য করে দেন। সে অনুযায়ি আজ বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।
ডিএএম/এমএইচ///
Leave a Reply