লাইফস্টাইল ডেস্ক:
বিয়ে সবার জীবনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ের পরের জীবন সুখী করতে নারী-পুরুষ দুজনেরই সমান অবদান রাখতে হয়। এক্ষেত্রে সঙ্গীর ভালো-মন্দ, তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা কিংবা সুবিধা-অসুবিধা সব দিকেই অন্যজনের খেয়াল রাখতে হয়। তবেই দাম্পত্য সুখী হবে।
জেনে রাখা ভালো, সব নারীই তার স্বামীর কাছ থেকে কিছু জিনিস আশা করেন। যা অনেকে মুখ ফুটে বলতে চান না। তবে বুদ্ধিমান স্বামীরা ঠিকই স্ত্রীর মনের আশা বুঝে নেন। কারণ ভালোবাসা ও সংসার টিকিয়ে রাখতে স্ত্রীর মন রাখতে স্বামীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মত্যাগ করতেই হয়। এক্ষেত্রে কিন্তু লাভবান হন স্বামীই! কারণ গবেষণা বলছে, যেসব পুরুষরা তাদের স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে বা বশে থাকেন তারাই নাকি স্বাস্থ্যবান ও দীর্ঘজীবী হন।
বেশিরভাগ স্ত্রীই চান স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে! স্বামী কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিশছেন কিংবা কার কার সঙ্গে কথা বলছেন ইত্যাদি বিষয়ে নজরদারি কমবেশি সব স্ত্রীই রাখেন। যদিও অনেক পুরুষই চান না স্ত্রীর কোণঠাসা হয়ে জীবন কাটাতে। তবে গবেষণার এ ফল আপনার ধারণা পরিবর্তনও করতে পারে!
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির (এমএসইউ) সমাজবিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে করা গবেষণাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭-৮৫ বছর বয়সী ১২২৮ জন বিবাহিত ব্যক্তির ওপর পরিচালিত হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা পুরুষদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম। এমন পুরুষরা দীর্ঘজীবীও হন অন্যদের চেয়ে বেশি।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক হুই লিউ বলেন, ‘বেশিরভাগ স্ত্রীই তার স্বামীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান। নিয়মিত স্বামীর স্বাস্থ্যের নজরদারি করনে তারা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার দিকেও অনেক স্বাস্থ্য সচেতন স্ত্রীরা খেয়াল রাখেন। এর ফলেই সুস্থ থাকেন স্বামী। যদিও অনেক স্বামীই স্ত্রীর এমন অনুশাসন পছন্দ করেন না। তবে এতে কিন্তু লাভ পুরুষেরই।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, একটি অসুখী বিবাহ খারাপ স্বাস্থ্য ও কম দীর্ঘায়ুর কারণ হতে পারে। অন্যদিকে সুখী পরিবারের দম্পতিরাও স্বাস্থ্যগতভাবে সুস্থ থাকেন ও দীর্ঘজীবী হন। শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রেই নয় বরং বৈবাহিক জীবনে সুখী নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কম, বলে জানায় গবেষকরা।
Leave a Reply