Dhaka ১০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

৭ মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৮

  • Update Time : ০৫:৩৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • / ০ Time View

সারাদেশ ডেস্ক:
চট্রগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়ায় রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের মৃত্যুসহ গত ৭ মাসে ছোট-বড় ১ হাজার ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সারাদেশের রেল পথে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৭০ জন।

সেভ দ্য রোড শনিবার ৩০ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে বিভিন্ন পরিবহণের চালকের অসতর্কতা ও গেটকিপারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে।

সেভ দ্য রোড এর বিবৃতিতে জানানো হয়, রেলের ২ হাজার ৮৫৬টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ ১ হাজার ৩৬১টি অর্থাৎ প্রায় ৪৮ শতাংশই অবৈধ। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ৩৩টি ক্রসিং কে বা কারা ব্যবহার করছে, তা কেউ জানে না। এছাড়া বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে ৬৩২টিতে গেটকিপার নেই। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোয় যেমন গেটকিপার নেই, নেই কোনো সুরক্ষা সরঞ্জামও। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ১ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬টি, এতে আহত হয়েছেন ৫২ জন, নিহত হয়েছেন ১৪ জন। ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১টি, এতে আহত হয়েছেন ১১১ জন, নিহত হয়েছেন ২৭ জন। ১ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২২টি, এতে আহত হয়েছেন ১৮৬ জন, নিহত হয়েছেন ৩১ জন। ১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১১২টি, এতে আহত হয়েছেন ১৬৬ জন, নিহত হয়েছেন ৪২ জন। মে মাসে ২১২টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২২১ জন, নিহত হয়েছেন ২৩ জন। জুন মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৯৭টি, আহত হয়েছেন ১৭২ জন, নিহত হয়েছেন ১৭ জন এবং জুলাই মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪২টি। ঈদুল আজহার ঈদযাত্রাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় জুলাইয়ে আহত হয়েছেন ২৩২ জন, নিহত হয়েছেন ২৪ জন।

২৪টি জাতীয় দৈনিক, ১৮টি ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম, ২২টি নিউজ পোর্টাল এবং সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর বিভিন্ন শাখার স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লাখ এবং আহতদের সরকারি অর্থায়নে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন সেভ দ্য রোডের নেতারা। একইসঙ্গে রেলওয়ের বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে ৭টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

এগুলো হলো-

১. অবৈধ ক্রসিংগুলোর সমাধান করা।
২. দুর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. সরকারি লেজুড়ভিত্তিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নামে নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে রেলকে গণমুখী বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করা।
৪. যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ রেলওয়েকে বেসরকারি খাত থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে পরিচালনার সুপরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৫. সচিব-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের আরাম-আয়েশ বাতিল করে সারাদেশে রেলওয়ের উন্নয়নে নিবেদিত থাকা।
৬. যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং সারাদেশের সব স্থানে কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা।
৭. প্রতি ৩ কিলোমিটারে পর্যবেক্ষণ করার জন্য রেলওয়ে পুলিশ-এর বিশেষ বুথ স্থাপন করা।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৭ মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৮

Update Time : ০৫:৩৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

সারাদেশ ডেস্ক:
চট্রগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়ায় রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের মৃত্যুসহ গত ৭ মাসে ছোট-বড় ১ হাজার ৫২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সারাদেশের রেল পথে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৭০ জন।

সেভ দ্য রোড শনিবার ৩০ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে বিভিন্ন পরিবহণের চালকের অসতর্কতা ও গেটকিপারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে।

সেভ দ্য রোড এর বিবৃতিতে জানানো হয়, রেলের ২ হাজার ৮৫৬টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ ১ হাজার ৩৬১টি অর্থাৎ প্রায় ৪৮ শতাংশই অবৈধ। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ৩৩টি ক্রসিং কে বা কারা ব্যবহার করছে, তা কেউ জানে না। এছাড়া বৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর মধ্যে ৬৩২টিতে গেটকিপার নেই। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোয় যেমন গেটকিপার নেই, নেই কোনো সুরক্ষা সরঞ্জামও। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ১ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬টি, এতে আহত হয়েছেন ৫২ জন, নিহত হয়েছেন ১৪ জন। ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১টি, এতে আহত হয়েছেন ১১১ জন, নিহত হয়েছেন ২৭ জন। ১ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২২টি, এতে আহত হয়েছেন ১৮৬ জন, নিহত হয়েছেন ৩১ জন। ১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১১২টি, এতে আহত হয়েছেন ১৬৬ জন, নিহত হয়েছেন ৪২ জন। মে মাসে ২১২টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২২১ জন, নিহত হয়েছেন ২৩ জন। জুন মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৯৭টি, আহত হয়েছেন ১৭২ জন, নিহত হয়েছেন ১৭ জন এবং জুলাই মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪২টি। ঈদুল আজহার ঈদযাত্রাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় জুলাইয়ে আহত হয়েছেন ২৩২ জন, নিহত হয়েছেন ২৪ জন।

২৪টি জাতীয় দৈনিক, ১৮টি ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম, ২২টি নিউজ পোর্টাল এবং সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর বিভিন্ন শাখার স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লাখ এবং আহতদের সরকারি অর্থায়নে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন সেভ দ্য রোডের নেতারা। একইসঙ্গে রেলওয়ের বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে ৭টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

এগুলো হলো-

১. অবৈধ ক্রসিংগুলোর সমাধান করা।
২. দুর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. সরকারি লেজুড়ভিত্তিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নামে নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে রেলকে গণমুখী বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করা।
৪. যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ রেলওয়েকে বেসরকারি খাত থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে পরিচালনার সুপরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৫. সচিব-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের আরাম-আয়েশ বাতিল করে সারাদেশে রেলওয়ের উন্নয়নে নিবেদিত থাকা।
৬. যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং সারাদেশের সব স্থানে কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা।
৭. প্রতি ৩ কিলোমিটারে পর্যবেক্ষণ করার জন্য রেলওয়ে পুলিশ-এর বিশেষ বুথ স্থাপন করা।

ডিএএম/কেকে//