দিদারুল আলম :
২৯ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
এ দূর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে চালকের দোষেই এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীগন জানান, রেল ক্রসিং এর গেটম্যান লাল পতাকা উড়িয়ে বারণ করেছিল, মাইক্রোবাস চালক শুনেননি।
রেলওয়ে কর্মকর্তাগনও জানান, মাইক্রোচালককে দায়ী করছে রেলওয়ে। গেটম্যানের কথা শোনেননি মাইক্রোচালক।
সারাদেশে বিভিন্ন সড়কে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে চালকদেরই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞগন। এর অন্যতম কারণ হিসেবে চালকের দ্রুতগতিতে গাড়ী চালানো, অনঅভিজ্ঞতা, সংকেত না মানা, ওভার টেকিংকে অন্যতম।
আজ মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে বলছে, গেটম্যান লাল পতাকা উড়িয়ে বারণ করলেও মাইক্রোচালক শুনেননি। তার অবহেলার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার ২৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে দুর্ঘটনার পরপরই বিভাগীয় পার্সোনেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনছার আলীকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয় বলে গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী।
আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী মহানগর আপ যাচ্ছিলো। একই সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতীও মিরসরাই বড়তাকিয়া এলাকায় একইস্থান পারাপার হচ্ছিল। বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে মহানগর আপ ট্রেনটি যাওয়ার আগে ক্রসিংয়ের গেটে থাকা বাঁশ ফেলানো হয়। এসময় মহানগর আপ বড়তাকিয়া ক্রস করার সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসটি বাঁশ উল্টিয়ে ট্রেনের লাইনে উঠে পড়ে।
তিনি বলেন, তারা মনে করেছিল ঢাকা থেকে আসা ট্রেনটি আসার আগেই যেতে পারবেন। কিন্তু রেললাইনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতী ট্রেনটি চলে আসে এবং মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় গেটম্যান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বার বার লাল পতাকা উচিয়ে তাদের বারণ করলেও মাইক্রোচালক শুনেননি। তার অবহেলার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ডিএএম/এফএ//
Leave a Reply