Dhaka ০৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ৮ উপায়

  • Update Time : ০৪:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • / ০ Time View

লাইফস্টাইল ডেস্ক: 

বিবাহিতাদের মনের সব থেকে বড় আক্ষেপ কী বলুন তো? বেশির ভাগই বলবেন, স্বামী যদি আমার কথা একটু শুনত! নারীদের না কি সব আড্ডাই শেষ হয় এই বিষয়ে গিয়ে। কিন্তু আক্ষেপ করলেই চলবে। সংসার তো আর সহজ কিছু না। শুধু শাসন করে গিন্নীপনা ফলিয়েছেন কি- পা পিছলে পড়বেন। খুব হিসেব করে পা ফেলুন। নিচে রইল স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করার আট উপায়।

সব সময় নরম নয়
স্ত্রীর নরম মনোভাব স্বামী পছন্দ করবেন ঠিকই। এর জন্য হয়ত দিনের শেষে কপালে প্রশংসা জুটে যাবে। তবে ক্ষতিও আছে। হাত থেকে ফসকে যাবে অনেক কিছুই। সব সময় স্বামীর হ্যাঁ-তে হ্যাঁ, আর না–তে না মেলাবেন না। নিজের যুক্তি উপস্থাপন করুন।

তার অনুভূতির খেলায় রাখুন
কথায় আছে মেয়েরা নাকি মন পড়তে পটু। যদি তাই হয়, আপনার মধ্যে এই লুকিয়ে থাকা গুণটা কাজে লাগান। স্বামীর মন পড়ে ফেলুন। সে কী চায়? তার ভাল লাগা, খারাপ লাগা আগেভাগেই বুঝে কথা বলুন। তার সব কথার বিপক্ষে কথা বলে খুব বেশি চটাতে যাবেন না। তার পছন্দের কিছুমাঝে মধ্যে গিফট করুন।

মাঝে মধ্যে উৎসাহ দিন
মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। ভুলের যেমন মাসুল আছে-আবার সমাধানও আছে। হতেই পারে হাজারো সাবধান করার পরেও স্বামী কোনও সাংঘাতিক ভুল করে ফেলছে। কষ্ট হবে তবুও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। চোখ পাকিয়ে রে রে করে উঠবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। বরং তাকে কাজে উৎসাহ দিন। পরে সময় মতো বুঝিয়ে বলুন।

তার প্রতি অনেক বেশি সেনসিটিভ হন
পুরুষরা সাধারণত নারীদের থেকে অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকেন। সেক্স লাইফে আপনি যদি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে তার জন্য হয়তো নিজেদেরকেই দায়ী করে থাকেন। যা তাকে মানসিক ভাবে ভেঙে ফেলতে পারে। নিজের মনের মধ্যে কথা চেপে না রেখে তাকে বোঝান আপনি কতটা সুখী হয়েছেন তাকে পেয়ে।

পরামর্শ দিন
কাজের চাপে যেগুলো ভুলে যান সেগুলোকে মনে করিয়ে দিন। যেমন ধরুন তাকে এটা মনে করিয়ে দিলেন ফোনে মায়ের খোঁজ খবর নেয়া উচিত।

ঘরের কাজেও তাকে দায়িত্ব দিন
সারা দিন-রাত আপনি ঘরে বাইরে পরিশ্রম করেন। স্বামীও বাইরের কাজে ব্যস্ত থাকে। ঘরের কিছু কাজ তার উপর মাঝে মধ্যে ছেড়ে দেবেন। ধরুন লাঞ্চে কী খাবেন সিদ্ধান্ত আপনি নিন। কিন্তু রান্নার দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বামীকে দিন। তেমনই ঘর পরিষ্কার এবং গোছানোর কাজটাও না হয় এক দিন তার উপরই ছেড়ে দিলেন। তবে অবশ্যই তদারকি করতে ভুলবেন না।

বদভ্যাস তাড়ান
চোখে আঙুল দিয়ে তাকে তার বদভ্যাসগুলো দেখিয়ে দিন। বার বার বলা সত্ত্বেও যদি বদভ্যাস না ছাড়ে তাহলে প্রয়োজনে কড়া কথা বলতেই হবে।

সম্মান করুন
সারাদিন স্বামীর উপরে মেজাজ দেখানো মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিজেকে তার দ্বিগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খিটখিট, ভুল করলে চোখ পাকানো বা কড়া কথা তো চলতেই থাকবে। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে আপনার সব কথা কলুর বলদের মতো স্বামী মেনে চলবেন। দিনের শেষে কিন্তু স্বামীকে বোঝানো ‘মাস্ট’ যে আপনি তাকে কতটা সম্মানের চোখে দেখেন।

এই আট নিয়ম মেনে চলুন ফল পাবেন।

সূত্র : আনন্দবাজার

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ৮ উপায়

Update Time : ০৪:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক: 

বিবাহিতাদের মনের সব থেকে বড় আক্ষেপ কী বলুন তো? বেশির ভাগই বলবেন, স্বামী যদি আমার কথা একটু শুনত! নারীদের না কি সব আড্ডাই শেষ হয় এই বিষয়ে গিয়ে। কিন্তু আক্ষেপ করলেই চলবে। সংসার তো আর সহজ কিছু না। শুধু শাসন করে গিন্নীপনা ফলিয়েছেন কি- পা পিছলে পড়বেন। খুব হিসেব করে পা ফেলুন। নিচে রইল স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করার আট উপায়।

সব সময় নরম নয়
স্ত্রীর নরম মনোভাব স্বামী পছন্দ করবেন ঠিকই। এর জন্য হয়ত দিনের শেষে কপালে প্রশংসা জুটে যাবে। তবে ক্ষতিও আছে। হাত থেকে ফসকে যাবে অনেক কিছুই। সব সময় স্বামীর হ্যাঁ-তে হ্যাঁ, আর না–তে না মেলাবেন না। নিজের যুক্তি উপস্থাপন করুন।

তার অনুভূতির খেলায় রাখুন
কথায় আছে মেয়েরা নাকি মন পড়তে পটু। যদি তাই হয়, আপনার মধ্যে এই লুকিয়ে থাকা গুণটা কাজে লাগান। স্বামীর মন পড়ে ফেলুন। সে কী চায়? তার ভাল লাগা, খারাপ লাগা আগেভাগেই বুঝে কথা বলুন। তার সব কথার বিপক্ষে কথা বলে খুব বেশি চটাতে যাবেন না। তার পছন্দের কিছুমাঝে মধ্যে গিফট করুন।

মাঝে মধ্যে উৎসাহ দিন
মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। ভুলের যেমন মাসুল আছে-আবার সমাধানও আছে। হতেই পারে হাজারো সাবধান করার পরেও স্বামী কোনও সাংঘাতিক ভুল করে ফেলছে। কষ্ট হবে তবুও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। চোখ পাকিয়ে রে রে করে উঠবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। বরং তাকে কাজে উৎসাহ দিন। পরে সময় মতো বুঝিয়ে বলুন।

তার প্রতি অনেক বেশি সেনসিটিভ হন
পুরুষরা সাধারণত নারীদের থেকে অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকেন। সেক্স লাইফে আপনি যদি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে তার জন্য হয়তো নিজেদেরকেই দায়ী করে থাকেন। যা তাকে মানসিক ভাবে ভেঙে ফেলতে পারে। নিজের মনের মধ্যে কথা চেপে না রেখে তাকে বোঝান আপনি কতটা সুখী হয়েছেন তাকে পেয়ে।

পরামর্শ দিন
কাজের চাপে যেগুলো ভুলে যান সেগুলোকে মনে করিয়ে দিন। যেমন ধরুন তাকে এটা মনে করিয়ে দিলেন ফোনে মায়ের খোঁজ খবর নেয়া উচিত।

ঘরের কাজেও তাকে দায়িত্ব দিন
সারা দিন-রাত আপনি ঘরে বাইরে পরিশ্রম করেন। স্বামীও বাইরের কাজে ব্যস্ত থাকে। ঘরের কিছু কাজ তার উপর মাঝে মধ্যে ছেড়ে দেবেন। ধরুন লাঞ্চে কী খাবেন সিদ্ধান্ত আপনি নিন। কিন্তু রান্নার দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বামীকে দিন। তেমনই ঘর পরিষ্কার এবং গোছানোর কাজটাও না হয় এক দিন তার উপরই ছেড়ে দিলেন। তবে অবশ্যই তদারকি করতে ভুলবেন না।

বদভ্যাস তাড়ান
চোখে আঙুল দিয়ে তাকে তার বদভ্যাসগুলো দেখিয়ে দিন। বার বার বলা সত্ত্বেও যদি বদভ্যাস না ছাড়ে তাহলে প্রয়োজনে কড়া কথা বলতেই হবে।

সম্মান করুন
সারাদিন স্বামীর উপরে মেজাজ দেখানো মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিজেকে তার দ্বিগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খিটখিট, ভুল করলে চোখ পাকানো বা কড়া কথা তো চলতেই থাকবে। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে আপনার সব কথা কলুর বলদের মতো স্বামী মেনে চলবেন। দিনের শেষে কিন্তু স্বামীকে বোঝানো ‘মাস্ট’ যে আপনি তাকে কতটা সম্মানের চোখে দেখেন।

এই আট নিয়ম মেনে চলুন ফল পাবেন।

সূত্র : আনন্দবাজার