Dhaka ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি: কাদের

  • Update Time : ০৪:৫৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • / ২৪ Time View

সারাদেশ ডেস্ক :  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি, আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।

নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরোও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোনো সংকট নেই, সংকট আছে বিএনপিতে এবং তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকটের কথা বলেছেন তার জবাবে একথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের চাওয়া আর আবদারের কোনো শেষ নেই- তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কখনো তত্বাবধায়ক সরকার এবং মাঝে মাঝে কখনো জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বলে- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে বিএনপি নেতারা কী চায় তা তারা নিজেরাও জানে না।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনকালে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন করে তত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়, সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির শান্তিপূর্ণ যে কোনো কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে দেশের জনগণ হাসে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে- এমনটা জনগণ বিশ্বাস করে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও স্পষ্ট করে বলেন, সরকার নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত।

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনের ডাকে সংলাপে না গিয়ে বিএনপি এবং তার দোসররা এখন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেন, এটা আসলে সংলাপ নয়, সংলাপের নামে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নিয়ে বিএনপির এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমী জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি: কাদের

Update Time : ০৪:৫৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

সারাদেশ ডেস্ক :  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি, আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।

নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরোও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোনো সংকট নেই, সংকট আছে বিএনপিতে এবং তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকটের কথা বলেছেন তার জবাবে একথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের চাওয়া আর আবদারের কোনো শেষ নেই- তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কখনো তত্বাবধায়ক সরকার এবং মাঝে মাঝে কখনো জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বলে- এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে বিএনপি নেতারা কী চায় তা তারা নিজেরাও জানে না।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনকালে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন করে তত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়, সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির শান্তিপূর্ণ যে কোনো কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে দেশের জনগণ হাসে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যে দল তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে না তারা আবার আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে- এমনটা জনগণ বিশ্বাস করে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও স্পষ্ট করে বলেন, সরকার নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত।

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ও নির্বাচন কমিশনের ডাকে সংলাপে না গিয়ে বিএনপি এবং তার দোসররা এখন নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেন, এটা আসলে সংলাপ নয়, সংলাপের নামে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নিয়ে বিএনপির এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমী জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না।