Dhaka ০২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

যে কারণে মানুষ ডিসেম্বর মাসে বেশি প্রেমে পড়ে!

  • Update Time : ১১:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • / ১ Time View

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

শীত মানেই উৎসবের মৌসুম। এই সময় মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান, বারবিকিউ করেন, আনন্দ-ফুর্তিতে সময় কাটান। শীতে প্রেমও বাড়ে দ্বিগুণ। শীতের সময় প্রেমিক ধীরে ধীরে শক্ত করে প্রেমিকার হাত ধরে, ঠোঁটে ঠোঁট রাখে ভালোবেসে। কিন্তু শীতেই কেন এমন হয়? শীত এলেই কেন সবার প্রেমে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দেয়।

একটু খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে এর পেছনে একাধিক যুক্তি সংগত কারণ রয়েছে। শীত এমনিতেই বাঙালির খুব প্রিয় মৌসুম। একটু ঠাণ্ডা পড়লেই বেশ হুল্লোড় শুরু হয়। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাইরে খাওয়া-দাওয়া কিংবা বাড়িতে আড্ডার আসর শুরু হয় আরো ঘন ঘন।

দীর্ঘ গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষার ভ্যাপসা আবহ থাকে দীর্ঘদিন। তারপর ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা-ভাব হয় বাতাসে, তখনই মনটা নেচে ওঠে। শীতের ছুটিতে বাইরে বেড়াতে যাওয়া কিংবা কোথাও সন্ধ্যাভোজের আয়োজনও বাড়তে থাকে। ফলে অনেক বেশি সংখ্যায় নতুন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার অবকাশ বাড়ে।

শীতকালের দুপুরের রোদ যেমন মিঠা-আদুরে, তেমনই কিন্তু বিকেলগুলো খানিক বিষণ্ণ। সেই বিষণ্ণতা সঙ্গী খোঁজে। একাকিত্ব কাটিয়ে চায় হাত বাড়িয়ে দিয়ে। তাই কোথাও কোনো সঙ্গী পেলেই বিকেল কাটিয়ে রঙিন সন্ধ্যার খোঁজ করেন সবাই।

ডিসেম্বর এলেই যেন আশার আলো দেখেন সবাই। পুরনো বছরের সব খারাপ স্মৃতি ঝেরে ফেলে নতুনের দিকে তাকাতে পছন্দ করেন সবাই। নতুন করে শুরু করতে চান।

এই সময় নতুন বছরের পরিকল্পনা শুরু করেন সবাই, জীবনে কী কী বদল আনতে চান, তা ঠিক করেন, আগামী বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির করেন। হয়তো সেই কারণেই মনও খোঁজে নতুন কাউকে। যাদের সারা বছর প্রেম-ভালোবাসায় অনীহা, তারাও এই সময়ে খানিক আশাবাদী হয়ে ওঠেন। নতুন কারো সঙ্গে আলাপ হলে খানিক গা ভাসিয়ে দিতে তারাও খুব একটা বাধা দেন না।

শীতের সকালে বাইরে হাঁটতে বের হলে হাত ঠাণ্ডা হয়ে এলে ইচ্ছে করবেই কারো হাতে হাত রাখতে। সন্ধ্যাবেলা কম্বল মুড়ি দিয়ে রোমান্টিক কমেডি দেখতে দেখতে হট চকলেট খাচ্ছেন? কেউ আপনার সঙ্গে কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ুক, তা মন চাইবেই। আসলে শীতের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রোম্যান্স। ঠাণ্ডার মধ্যে উষ্ণতার খোঁজে আপনি যে পথেই হাঁটুন, মন হয়তো অজান্তেই প্রেম খুঁজে নেবে। বিদেশে শীতের আরেক নাম ‘কাফিং সিজন’। মানে যাকে বলা যেতে পারে ‘হাতে হাত রাখার’ মৌসুম।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজলে দেখা যাবে শীতে নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই নানা রকম হরমোনের ক্ষরণ কম-বেশি হয়। তাতে কাউকে অল্প ভালো লাগলেও তাড়াতাড়ি মানসিক ভাবে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে প্রেম-ভালোবাসার অত ব্যাখ্যা খুঁজেও যখন বের করতে পারেননি বহু বিদ্বজন, তখন সে দিকে না যাওয়াই ভালো। তার চেয়ে বরং সঙ্গীর সঙ্গে ডিসেম্বর উপভোগ করুন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যে কারণে মানুষ ডিসেম্বর মাসে বেশি প্রেমে পড়ে!

Update Time : ১১:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

শীত মানেই উৎসবের মৌসুম। এই সময় মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান, বারবিকিউ করেন, আনন্দ-ফুর্তিতে সময় কাটান। শীতে প্রেমও বাড়ে দ্বিগুণ। শীতের সময় প্রেমিক ধীরে ধীরে শক্ত করে প্রেমিকার হাত ধরে, ঠোঁটে ঠোঁট রাখে ভালোবেসে। কিন্তু শীতেই কেন এমন হয়? শীত এলেই কেন সবার প্রেমে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দেয়।

একটু খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে এর পেছনে একাধিক যুক্তি সংগত কারণ রয়েছে। শীত এমনিতেই বাঙালির খুব প্রিয় মৌসুম। একটু ঠাণ্ডা পড়লেই বেশ হুল্লোড় শুরু হয়। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাইরে খাওয়া-দাওয়া কিংবা বাড়িতে আড্ডার আসর শুরু হয় আরো ঘন ঘন।

দীর্ঘ গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষার ভ্যাপসা আবহ থাকে দীর্ঘদিন। তারপর ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা-ভাব হয় বাতাসে, তখনই মনটা নেচে ওঠে। শীতের ছুটিতে বাইরে বেড়াতে যাওয়া কিংবা কোথাও সন্ধ্যাভোজের আয়োজনও বাড়তে থাকে। ফলে অনেক বেশি সংখ্যায় নতুন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার অবকাশ বাড়ে।

শীতকালের দুপুরের রোদ যেমন মিঠা-আদুরে, তেমনই কিন্তু বিকেলগুলো খানিক বিষণ্ণ। সেই বিষণ্ণতা সঙ্গী খোঁজে। একাকিত্ব কাটিয়ে চায় হাত বাড়িয়ে দিয়ে। তাই কোথাও কোনো সঙ্গী পেলেই বিকেল কাটিয়ে রঙিন সন্ধ্যার খোঁজ করেন সবাই।

ডিসেম্বর এলেই যেন আশার আলো দেখেন সবাই। পুরনো বছরের সব খারাপ স্মৃতি ঝেরে ফেলে নতুনের দিকে তাকাতে পছন্দ করেন সবাই। নতুন করে শুরু করতে চান।

এই সময় নতুন বছরের পরিকল্পনা শুরু করেন সবাই, জীবনে কী কী বদল আনতে চান, তা ঠিক করেন, আগামী বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির করেন। হয়তো সেই কারণেই মনও খোঁজে নতুন কাউকে। যাদের সারা বছর প্রেম-ভালোবাসায় অনীহা, তারাও এই সময়ে খানিক আশাবাদী হয়ে ওঠেন। নতুন কারো সঙ্গে আলাপ হলে খানিক গা ভাসিয়ে দিতে তারাও খুব একটা বাধা দেন না।

শীতের সকালে বাইরে হাঁটতে বের হলে হাত ঠাণ্ডা হয়ে এলে ইচ্ছে করবেই কারো হাতে হাত রাখতে। সন্ধ্যাবেলা কম্বল মুড়ি দিয়ে রোমান্টিক কমেডি দেখতে দেখতে হট চকলেট খাচ্ছেন? কেউ আপনার সঙ্গে কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ুক, তা মন চাইবেই। আসলে শীতের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রোম্যান্স। ঠাণ্ডার মধ্যে উষ্ণতার খোঁজে আপনি যে পথেই হাঁটুন, মন হয়তো অজান্তেই প্রেম খুঁজে নেবে। বিদেশে শীতের আরেক নাম ‘কাফিং সিজন’। মানে যাকে বলা যেতে পারে ‘হাতে হাত রাখার’ মৌসুম।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজলে দেখা যাবে শীতে নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই নানা রকম হরমোনের ক্ষরণ কম-বেশি হয়। তাতে কাউকে অল্প ভালো লাগলেও তাড়াতাড়ি মানসিক ভাবে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে প্রেম-ভালোবাসার অত ব্যাখ্যা খুঁজেও যখন বের করতে পারেননি বহু বিদ্বজন, তখন সে দিকে না যাওয়াই ভালো। তার চেয়ে বরং সঙ্গীর সঙ্গে ডিসেম্বর উপভোগ করুন।