আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের দুটি শহর মারিওপোল ও ভলনোভাখায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বেসামরিক লোকজন যেন নিরাপদে সরে যেতে পারে সেজন্যই এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
শনিবার ৫ মার্চ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শহর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে মারিওপোলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বাসে করে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী সাত ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, মানবিক করিডোরের রুট হচ্ছে মারিওপোল থেকে জাপোরিঝিয়া। শহরের তিনটি এলাকা থেকে বাস ছাড়বে। তবে নির্দিষ্ট রুট অনুসরণ করে ব্যক্তিগত গাড়ির মাধ্যমেও বাসিন্দারা শহর ছাড়তে পারবেন। বাস চালকদের গাড়ির পুরো জায়গা বাসিন্দাদের বহনে ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নির্দিষ্ট করে দেয়া রুটের বাইরে চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিওপোল বেশ কয়েকদিন ধরে রুশ বাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে সেখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, ইউক্রেনের সমুদ্র-তীরবর্তী শহর মারিউপোল ও ভোলনোভখার বেসামরিক লোকজনকে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও রুশ সৈন্যরা তা পুরোপুরি মানছে না। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শনিবার মারিউপোলে এখনও গোলাবর্ষণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন শহরটির ডেপুটি মেয়র সেরহি ওরলভ। টেলিগ্রামে দেয়া এক বার্তায় মারিউপোলের সিটি কাউন্সিল বলেছে, জাপোরিজিয়া অঞ্চলেও লড়াই চলছে। অথচ মারিউপোল থেকে মানবিক করিডোর ব্যবহার করে বেসামরিক লোকজনকে এই শহরে সরিয়ে নেয়া হবে।
গত ৯ দিনের রুশ অভিযানে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্শিতী রাষ্ট্র পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ ইউক্রেনীয়। এছাড়াও শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে আছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুও।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য সংলাপ শুরু করেছেন। সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র বেলারুশের উদ্যোগে দেশটির ইউক্রেন সীমান্তবর্তী শহর গোমেলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফা বৈঠক হয় দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে।
বর্তমানে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, শেরনিগভ, মারিউপোল ও ভোলনোভাখা শহরে ব্যাপক সংঘাত হচ্ছে রুশ ও ইউক্রেন বাহিনীর সেনা সদস্যদের মধ্যে। এসবের মধ্যে মারিউপোল ও ভোলনোভাখা শহরের অবস্থা সবচেয়ে সঙ্গীন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহকারী মিখাইল পোদোলায়াক।
কেকে//এসএম//
Leave a Reply