Dhaka ১২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ

  • Update Time : ০৯:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে দ্রুততম সময়ে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিবকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া, এডভোকেট মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৬তম থেকে ১০, ৩৭তম থেকে ৩৮ ও ৩৯তম থেকে ৩৬ জনসহ সর্বমোট ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রদান করেছেন। পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত।

রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া সারাদেশকে বলেন, রিটকারীরা বিভিন্ন বিসিএসে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও কারণ ছাড়াই নিয়োগ দেয়া হয়নি। সুপারিশপ্রাপ্ত অন্যান্যদের নিয়োগ দেয়া হলেও তারা বাদ থাকেন। এরই পরিপ্রক্ষিতে তারা রিট করেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল কেস বা রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো অভিযোগ নেই। এসব শুনে আদালত বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে। চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও নিয়োগ না দেয়া অবৈধ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএস এবং ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ৩৯তম বিসিএসের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে রিটকারীরা আবেদন করেন। যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ৩৭তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ২০১৮ সালের ১২ জুন মোট এক হাজার ৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এবং পরে বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট এক হাজার ২৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু সুপারিশকৃত এক হাজার ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৮ জন রিটপিটিশনারসহ সর্বমোট ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।

তিনি বলেন, ৩৯তম বিসিএসে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মোট চার হাজার ৭৯২ জনকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর এবং পরবর্তী বিভিন্ন তারিখে চার হাজার ৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ৩৬ জন রিটকারীসহ সর্বমোট ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়। বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলেও নিয়োগ না দেওয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

এডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, এ রায়ের ফলে রিটকারীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তাদের নিয়োগের পথ সুগম হলো। ৩৯তম বিসিএসের ৩৬ জনের সবাই চিকিৎসক।

রীটকারীগণ হলেন ৩৭তম বিসিএস এর (১) মোসা. আরফুনা খাতুন, (২) কংকন চন্দ্র রায়, (৩) শেখ মাহবুবে সোবহানী, (৪) আতিয়া তামান্না, (৫) জান্নাতুল নাঈম, (৬) নাইমুর রহমান, (৭) ইমরান হাসান, (৮) মেহরাব হোসেন, (৯) বেনাজীর ইকবাল, (১০) মোঃ রুবাইয়াত ফেরদৌস সহ ৩৮ জন এবং ৩৯তম বিসিএস এর (১) এ.বি.এম মেহেদী, (২) নাহিদ আজম পরাগ, (৩) শায়লা আক্তার, (৪) মোহাম্মাদ আলী আফতাব, (৫) মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, (৬) হোসনে আরা সনিয়া, (৭) মোঃ রাকিবুল হাসান, (৮) মোঃ আতিকুর রহমান, (৯) আনোয়ার আহমেদ মিয়াজি, (১০) রুবাইয়া তাসমিন সহ ৩৬ জন এবং ৩৬তম বিসিএস এর ১০ জন।

কেকে/এসএম/ডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ

Update Time : ০৯:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে দ্রুততম সময়ে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিবকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া, এডভোকেট মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৬তম থেকে ১০, ৩৭তম থেকে ৩৮ ও ৩৯তম থেকে ৩৬ জনসহ সর্বমোট ৮৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রদান করেছেন। পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত।

রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া সারাদেশকে বলেন, রিটকারীরা বিভিন্ন বিসিএসে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলেও কারণ ছাড়াই নিয়োগ দেয়া হয়নি। সুপারিশপ্রাপ্ত অন্যান্যদের নিয়োগ দেয়া হলেও তারা বাদ থাকেন। এরই পরিপ্রক্ষিতে তারা রিট করেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল কেস বা রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো অভিযোগ নেই। এসব শুনে আদালত বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে। চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও নিয়োগ না দেয়া অবৈধ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭তম বিসিএস এবং ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ৩৯তম বিসিএসের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে রিটকারীরা আবেদন করেন। যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ৩৭তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ২০১৮ সালের ১২ জুন মোট এক হাজার ৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে। পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এবং পরে বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট এক হাজার ২৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু সুপারিশকৃত এক হাজার ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৮ জন রিটপিটিশনারসহ সর্বমোট ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।

তিনি বলেন, ৩৯তম বিসিএসে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মোট চার হাজার ৭৯২ জনকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর এবং পরবর্তী বিভিন্ন তারিখে চার হাজার ৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ৩৬ জন রিটকারীসহ সর্বমোট ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়। বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলেও নিয়োগ না দেওয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

এডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, এ রায়ের ফলে রিটকারীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তাদের নিয়োগের পথ সুগম হলো। ৩৯তম বিসিএসের ৩৬ জনের সবাই চিকিৎসক।

রীটকারীগণ হলেন ৩৭তম বিসিএস এর (১) মোসা. আরফুনা খাতুন, (২) কংকন চন্দ্র রায়, (৩) শেখ মাহবুবে সোবহানী, (৪) আতিয়া তামান্না, (৫) জান্নাতুল নাঈম, (৬) নাইমুর রহমান, (৭) ইমরান হাসান, (৮) মেহরাব হোসেন, (৯) বেনাজীর ইকবাল, (১০) মোঃ রুবাইয়াত ফেরদৌস সহ ৩৮ জন এবং ৩৯তম বিসিএস এর (১) এ.বি.এম মেহেদী, (২) নাহিদ আজম পরাগ, (৩) শায়লা আক্তার, (৪) মোহাম্মাদ আলী আফতাব, (৫) মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, (৬) হোসনে আরা সনিয়া, (৭) মোঃ রাকিবুল হাসান, (৮) মোঃ আতিকুর রহমান, (৯) আনোয়ার আহমেদ মিয়াজি, (১০) রুবাইয়া তাসমিন সহ ৩৬ জন এবং ৩৬তম বিসিএস এর ১০ জন।

কেকে/এসএম/ডিএ//