Dhaka ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

কক্সবাজারের ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য কাম্য নয় : হাইকোর্ট

  • Update Time : ০৫:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে আনা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, তদন্তকালে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য কাম্য নয়।

আদালত বলেছেন, ভুক্তভোগী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। এই পর্যায়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দুঃখজনক। ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য এলে পরে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন হলেও মানুষের মনে নানা রকম ধারণা হতে পারে।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টির ওপর শুনানিকালে এই মন্তব্য করেন আদালত।। আদালত রিটটি স্ট্যান্ডওভার (শুনানি মুলতবি) রেখেছেন।

আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

শুনানিতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, কক্সবাজারের ঘটনায় পুলিশ ও র‍্যাবের বক্তব্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে। তাই ২২ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাচ্ছি। আদালত বলেন, তদন্তের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি এজেন্সি আরেকটি এজেন্সিকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তাদের কথা কম বলাই ভালো।

কক্সবাজারে পর্যটককে দলবেধে ধর্ষণের অভিযোগের ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে গতকাল রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল রিটটি দায়ের করেছেন।

রিটে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপের নির্দেশনার পাশাপাশি রুল চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারসহ ৬ জনকে রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়েছে।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে এক নারী পর্যটককে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫।

পরদিন ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও তিনজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন।

ওই মামলার প্রধান আসামি আশিকুর রহমান আশিকসহ কয়েক আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কক্সবাজারের ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য কাম্য নয় : হাইকোর্ট

Update Time : ০৫:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে আনা রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, তদন্তকালে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য কাম্য নয়।

আদালত বলেছেন, ভুক্তভোগী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। এই পর্যায়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দুঃখজনক। ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য এলে পরে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন হলেও মানুষের মনে নানা রকম ধারণা হতে পারে।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টির ওপর শুনানিকালে এই মন্তব্য করেন আদালত।। আদালত রিটটি স্ট্যান্ডওভার (শুনানি মুলতবি) রেখেছেন।

আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

শুনানিতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, কক্সবাজারের ঘটনায় পুলিশ ও র‍্যাবের বক্তব্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে। তাই ২২ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাচ্ছি। আদালত বলেন, তদন্তের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি এজেন্সি আরেকটি এজেন্সিকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তাদের কথা কম বলাই ভালো।

কক্সবাজারে পর্যটককে দলবেধে ধর্ষণের অভিযোগের ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে গতকাল রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল রিটটি দায়ের করেছেন।

রিটে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপের নির্দেশনার পাশাপাশি রুল চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারসহ ৬ জনকে রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়েছে।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে এক নারী পর্যটককে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫।

পরদিন ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও তিনজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন।

ওই মামলার প্রধান আসামি আশিকুর রহমান আশিকসহ কয়েক আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ডিএএম/কেকে//