দুর্নীতির ব্যপারে কোনো কম্প্রোমাইজ করবো না : প্রধান বিচারপতি
- Update Time : ০৬:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
- / ২ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দুর্নীতিকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, দুর্নীতির ব্যপারে কোনো কম্প্রোমাইজ করবো না।
নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে তার কর্মদিবসের প্রথম দিনে সম্বর্ধনা দেন এটর্নি জেনারেল কার্যালয় সুপ্রিমকোর্ট
আইনজীবী সমিতি (সুপ্রিমকোর্ট বার)।
নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে সম্বর্ধনা প্রদান করে লিখিত বক্তৃতা করেন এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট বার এর পক্ষে সম্পাদক ব্যারিষ্টার মো:রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ১ নং বিচার কক্ষে আজ সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগন, সাবেক এটর্নি জেনারেল, সিনিয়র এডভোকেট, আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ও গনমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্বর্ধনা শেষে নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বেলা ১২ টা থেকে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
সম্বর্ধনার জবাবে বিচার বিভাগের দুর্নীতি নির্মূলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে তিনি বলেন, দুর্নীতির ব্যপারে কোনো কম্প্রোমাইজ করবো না। কোনো রকম দুর্নীতি হলে জড়িত যেই হোক না কেন সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার কার্যক্রমের সংশ্লিষ্ট সকলকে এই অভিপ্রায় জানাতে চাই যে, বিচার বিভাগে কোনো দুষ্ট চক্রকে ন্যূনতম প্রশ্রয় দিব না। দুর্নীতি একটি ক্যান্সার। কোনো আঙুলে যদি ক্যান্সার হয় তার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে আঙুলটি কেটে ফেলা। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেয়া হবে ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি।
বিচার বিভাগ নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাবেন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার কোনো অশুভ শক্তি বা গোষ্ঠীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হোক তা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটি অঙ্গ যদি দুর্বল, সমস্যাগ্রস্ত হয় তাহলে শক্তিশালী রাষ্ট্র হতে পারবে না। সে কারণে আমি বিশ্বাস করি রাষ্ট্রের অপর দুটি বিভাগ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিচার বিভাগের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্রের সকল বিভাগ এবং ব্যক্তিকে বার বার স্মরণ করতে হবে- ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক শক্তি পরাজিত হবে।
প্রধান বিচারপতি বিদ্যমান মামলা জট কমানো, বিচার বিভাগ থেকে দুর্নীতি দূর করা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সমন্বয়ে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, বার ও বেঞ্চ হলো একটি দেহে দুটি ডানা। জুডিশিয়ারি হলো দেহ।
ন্যায়বিচার জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া জনগণের প্রতি দয়া নয় বরং এটি জনগণের সহজাত অধিকার উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই অধিকারকে কেবল সাংবিধানিক অধিকার বলে সাব্যস্ত করতে রাজি নই। ন্যায়বিচারের সৌন্দর্য এবং আইনের রাজকীয়তা প্রকৃতপক্ষে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন বটে। সে কারণে দেশের সকল বিজ্ঞ বিচারককে নিরপেক্ষতার সাথে, নির্মোহ হয়ে, নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সহজাত অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
বিচার বিভাগে কোনো দুষ্ট ক্ষতকে ন্যূনতম প্রশ্রয় দেয়া হবে না উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের সকল শাখাসমূহের অস্বচ্ছতা, অনিয়ম, অলসতা এবং অযোগ্যতাকে নির্মূল করতে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণে আমি সকলকে পাশে পাবো এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যারা নিয়ামক শক্তি রয়েছেন তারা সকলে আমাদের প্রতি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন এটা আমার একান্ত আবেদন। ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হয় এমন সকল কারণ চিহ্নিত করে তা দূর করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর হবো।
দেশের অধস্তন আদালতে মামলা জট নিরসন তথা বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ৮টি বিভাগে একজন করে হাইকোর্টের বিচারপতিকে প্রধান করে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রতিমাসে আমি তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতিবেদন গ্রহণ করবো। পুরাতন মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিষ্পত্তির বিষয়ে সুপারভাইস এবং মনিটরিং করা হবে।
বিচার বিভাগকে নিয়ে আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে যেকোনো গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা যারা বিচার বিভাগের আলোচক ও সমালোচক বন্ধু রয়েছেন তারা বিচার বিভাগের সমস্যা উপলব্ধি করবেন। নিঃসংকোচে আলোচনা বা সমালোচনা করবেন, তবে রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর কল্যাণকামীতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে অভিবাদন জানিয়ে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির সুপারিশ অগ্রাহ্য করে ২০০৩ সালে আপনাকেসহ ১৬ জন বিচারপতিকে স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। সেসময় আপনাদের তথা বিচার বিভাগের উপর এরূপ আঘাত ও হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুসৃত পথে আপনি এবং অন্য কয়েকজন বিচারপতি একটি রিট করেন এবং জনস্বার্থে সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী মরহুম ইদ্রিসুর রহমান আরেকটি রিট করেন। সেই রিটের আদেশের ধারাবাহিকতায় স্থায়ী বিচারপতি হন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মাননীয় প্রধান বিচারপতি, আমাদের সকলেরই স্মরণ রয়েছে যে কয়েকদিন আগে সুপ্রিমকোর্ট দিবসের অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে রায় ঘোষণার পর তার অনুলিপির কপি পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থী জনগণের আদালতের বারান্দায় দীর্ঘ অপেক্ষার কথা বলেছিলেন। উন্মুক্ত আদালতে রায় ঘোষণার মাধ্যমে পক্ষগণ তা জানতে পারলেও, ওই রায় সাক্ষরিত হয়ে বিচারপ্রার্থীর হাতে না পৌঁছানো পর্যন্ত তা কার্যকর করা যায় না। তাই ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি দ্রুত প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রয়োজন। আমি আশা করবো এ বিষয়ে আপনি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তিতে ও বিচারাধীন মামলার সংখ্যা হ্রাসের ক্ষেত্রে পুরনো মামলাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি।’
সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট হচ্ছে একজন বিচারপ্রার্থীর সর্বশেষ আশার ভরসার স্থল। তাই এই অঙ্গনকে কুলষমুক্ত রাখা, দুর্নীতি মুক্ত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তবে আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি। যেমন, জামিন আদেশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে আদেশ নামানো, আদেশ ডেসপাস করা প্রতিটি ক্ষেত্রেই অহেতুক নানাবিধ অতিরিক্ত পয়সা খরচ করতে হয়। অথচ আদালতে ফাইল আনা, ফাইল পাঠানো কিংবা আদেশ পাঠানো আইনগতভাবেই অত্র আদালতের প্রশাসনিক দায়িত্ব।
সম্পাদক কাজল বলেন, অনিয়ম এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, মনে হয় এসব প্রশাসনিক কাজ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী কিংবা আইনজীবী সহকারীর দায়িত্ব। এছাড়া মামলা এফিডেভিট করে দায়েরের পর আদালত পর্যন্ত পৌছাতে এবং আদালতের আদেশের পর আদেশ পাঠানো পর্যন্ত পদে পদে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়। কোনো মামলা জামিন কিংবা স্থগিতাদেশ বৃদ্ধির জন্য সময়মত নির্দিষ্ট আদালতে ফাইল না আসা কিংবা আদেশ সময়মত নিম্ন আদালতে না পৌছানোর ফলে জামিন প্রাপ্ত ব্যক্তির অহরহ নিম্ন আদালত কর্তৃক পুনরায় কারাগারে প্রেরণের ঘটনা ঘটছে। এই সকল সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরোধ জানান সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক।
আইনজীবীদের সূযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বার সম্পাদক।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন এবং আইনের শাসন সুনিশ্চিতকরণ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অগ্রদূত হিসেবে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক।
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণ করেন। বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে বুধবার ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। তার নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ৪৭ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে কাল ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান তিনি। সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মরহুম আবদুর গফুর মোল্লা ও নূরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে। তিনি ১৯৭২ সালে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে। এরপর বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। তিনি এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হন ১৯৮১ সালে। জেলা আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেন ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট। ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সনদ লাভ করেন। আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৯৯ সালের ২৭ মে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচারপতি হিসেবে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তিনি সৌদি আরব সফর করেছেন।
তার বড় ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি থেকে অবসরে গিয়েছেন। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ইতিহাসে প্রথম দুই ভাই সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে আসীনের নজির স্থাপন করেছেন।
ডিএএম/কেকে/