Dhaka ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

২০ মাস পর শারীরিক উপস্থিতিতে আপিল বিভাগে বিচার কাজ শুরু

  • Update Time : ০৩:০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেড় বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কাজ চলার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম।

আজ বুধবার সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাচ বিচারপতির আপিল বিভাগে দিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালত চলাকালীন অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ে আপিল বিভাগে থাকা ২৪ হাজার মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে এখন সাড়ে ১৫ হাজারের মতো মামলা রয়েছে।’

পাশাপাশি হাইকোর্টের সব বেঞ্চেই আজ শারিরীক উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছর দেশে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

তার দুই দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ। এরপর গত বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের দুয়ার খুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন জারি কর প্র্যাকটিশ ডাইরেকশন।

এর মধ্য দিয়ে দেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীসময়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার কোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

গত ২৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনাক্রমে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেন। সে অনুযায়ী আজ শারিরীক উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ডিএএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

২০ মাস পর শারীরিক উপস্থিতিতে আপিল বিভাগে বিচার কাজ শুরু

Update Time : ০৩:০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেড় বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কাজ চলার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম।

আজ বুধবার সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাচ বিচারপতির আপিল বিভাগে দিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালত চলাকালীন অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ে আপিল বিভাগে থাকা ২৪ হাজার মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে এখন সাড়ে ১৫ হাজারের মতো মামলা রয়েছে।’

পাশাপাশি হাইকোর্টের সব বেঞ্চেই আজ শারিরীক উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছর দেশে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

তার দুই দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ। এরপর গত বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের দুয়ার খুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন জারি কর প্র্যাকটিশ ডাইরেকশন।

এর মধ্য দিয়ে দেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীসময়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার কোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

গত ২৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনাক্রমে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেন। সে অনুযায়ী আজ শারিরীক উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ডিএএম/কেকে//