মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানাতে হাইকোর্ট নির্দেশ
- Update Time : ০৪:০৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
- / ১ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
নেটওয়ার্কসহ মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোম্মানীগুলোর বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
রিটের একজন আবেদনকারী সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম সারাদেশ’কে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, ৬০ দিনের মধ্যে বিটিআরসিকে এফিডেভিট আকারে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কসহ মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে মোবাইল কোম্পানীগুলোকে বাধ্য করতে বিটিআরসির নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ডালিম জানান, মোবাইল কোম্পানীগুলোর দুর্বল নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নের জন্য বিটিআরসি রেগুলেশন আইনের ৩ ও ৯ ধারা অধীনে ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করা জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী হবে না-রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো: রাসেল চৌধুরী ও সহকারি এটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।
মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ১২ জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ রাশিদুল হাসান আবেদনকারী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।
তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসি,র চেয়ারম্যান গ্রামীণ ফোন সহ মোবাইল কোম্পানীগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।
রিট পিটিশনার ডালিম জানান, রিট আবেদনে বলা হয়েছে- দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্নক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করেনি যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষের দিকে।
রিটের পক্ষে এডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দূর্বল যে, দেশের অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যাবহার করা যায় না। অথচ, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাবহার করতে না পারার অন্যতম কারন হলো ধীরগতি।
বছরে সাড়ে ৫ লক্ষ অভিযোগ জমা হয় বিআরটিসি তে, কিন্তু গ্রাহকেরা এখনো ভোগান্তির শিকার।
ডিএএম/এসএম//