হাত পা হারানো শিশুকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া প্রশ্নে হাইকোর্ট রুল
- Update Time : ০১:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
- / ৩ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাত-পা হারানো সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের সাত বছরের শিশু রাকিবুজ্জামানকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্টদের এক সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে শিশুটির কি চিকিৎসা হয়েছে এবং দেশে-বিদেশে আরও কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন তা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোঃ তাজুল ইসলাম ও মুহম্মদ তারিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। মামলাটি আগামী ১৮ নভেম্বর ফের কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশে বলা হয়।
শিশু রাকিবুজ্জামানের জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে গতকাল রোববার রিটটি দায়ের করা হয়। শিশুটির বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর পক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ রিটটি করেন।
রিটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়নের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, জোনাল ম্যানেজার, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, প্রকল্প পরিচালক, সাতক্ষীরার ডিসি ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শককে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটকারী পক্ষে আইনজীবী তারিকুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর বসতবাড়ির ওপর দিয়ে নকশা বর্হিভূতভাবে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে তার সাত বছরের শিশু রাকিবুজ্জামানের হাড়-মাংস ঝলসে ডান হাত এবং ডান পা হারিয়েছে। এ আইনজীবী জানান, চলতি বছর মার্চে সাতক্ষীরা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি নকশা পরিবর্তন ও আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতল বাসবভনের ওপর দিয়ে ক্যাপ ও কভারবিহীন বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করে। এই লাইনে সংযোগ না দিতে পাটকেলঘাটা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর আবেদনও করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। পরবর্তীতে ৯ মে আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর ৭ বছরের শিশুপুত্র রাকিবুজ্জামান ওই বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয় এবং এতে তার শরীর ঝলসে হাড়-মাংস খসে পড়ে। এ ঘটনার পরপরই শিশু রাকিবুজ্জামানকে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ মে রাকিবুজ্জামানের ডান হাতের বগল থেকে ও ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়।
এ ঘটনার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৫ মে আব্দুর আব্দুর রাজ্জাক ঢালী সাতক্ষীরা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ক্ষতিপূরণসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিবাদীরা ক্ষতিপূরণ দেননি এবং অন্য কোনো ব্যবস্থাও নেননি। প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে আব্দুর রাজ্জাক ঢালী হাইকোর্টে রিটটি গতকাল দায়ের করেন।
ডিএএম/এমএইচএম//