নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল শুনানির আগে চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামির মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সংবাদ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, আপিল শুনানির আগে তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে, এ কথাটি কিন্তু সঠিক না। তাদের আপিল শুনানি হয়েছে, জেল আপিল ছিল, জেল আপিল শুনানি হয়েছে। জেল আপিল শুনানির পরে তাদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার যে অধিকার সেটাও দেয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পরে তাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাদের দন্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে তাদের জেল আপিল নিষ্পত্তির পর সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পরই দন্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে, এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে চুয়াডাঙ্গার মনোয়ার হত্যা মামলার দুই আসামি মকিম ও ঝড়ুর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টে আজ সাংবাদিকদের সাথে তিনি একথা বলেন। এটর্নি জেনারেল বলেন, বিচার শেষে সব প্রক্রিয়া শেষ করেই চুয়াডাঙ্গার মনোয়ার হত্যা মামলার দুই আসামি মকিম ও ঝড়ুর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখলাম আসামি মকিম ও ঝড়ু জেলখানা থেকে যে আপিল করেছিলেন সেটি ছিল জেল আপিল। তিনজন বিচারপতি শুনানি করে সে আপিল ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর রায়ের মাধ্যমে তা খারিজ করে দেন। কিন্তু তিনি আরও একটি আপিল (নিয়মিত) দায়ের করেন যেটি গতকাল লিস্টে ছিল। তবে ওনাদের আইনজীবীর উচিত ছিল দুটি আপিল একসঙ্গে শুনানি করা বা আদালতের দৃষ্টিতে নিয়ে আসা।
এটর্নি জেনারেল বলেন, যেহেতু তারা দৃষ্টিতে আনেননি, তাই তাদের যে জেল আপিল ছিল তা সুপ্রিমকোর্টের ফুলকোর্টে শুনানি হয়ে ডিসমিসড (খারিজ) হলো। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেন, সেটিও ডিসমিসড হলো। আপিল এবং প্রাণ ভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে দন্ড কার্যকর করা হয়।
এএম আমিন উদ্দিন বলেন, যেহেতু এই আপিলটি আলাদাভাবে করা হয়েছে, একসঙ্গে ট্যাগ করা হয়নি, এ কারণে রয়ে গেছে। বিচার শেষ হওয়ার পর আপিল কার্যতালিকায় আসা প্রসঙ্গে এটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের দেশে এখনো পুরোপুরি ডিজিটাল হয়নি যে একটা দিলেই সব চলে আসবে। আমি মনে করি আইনজীবীদের দায়িত্ব হচ্ছে আদালতের নজরে নিয়ে আসা যে এ আপিলের সঙ্গে আরও একটি আপিল আছে। আশা করি এখন যেহেতু ডিজিটালাইজড হয়ে যাচ্ছে হয়তো এই সমস্যাগুলো থাকবে না।
ফাঁসির রায় কার্যকরের পর চুয়াডাঙ্গার মনোয়ার হত্যা মামলার দুই আসামি মকিম ও ঝড়ুর মামলা গতকাল কার্যতালিকায় আসে। এতে ওই দুই আসামির দন্ড কার্যকর প্রশ্নে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
বিষয়টি নজরে আসার পর কারা কর্তৃপক্ষও জানায়, সব প্রক্রিয়া শেষেই মকিম ও ঝড়ুর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
ডিএএম/কেকে//
Leave a Reply