Dhaka ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনার কথা জানালেন আইনমন্ত্রী

  • Update Time : ০৬:১৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
  • / ২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, আগামী বছর ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪২তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন। আনিসুল হক বলেন, দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে। এটা নতুন করে তৈরি হয়েছে তা নয়, অতীতের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এ জট নিরসন করতে হবে। এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ। বিচার বিভাগের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিচারকদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইনষ্টিটিউটে একইসাথে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে।

তিনি বলেন, মামলাজট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ১১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও বিচার নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোন পদ শূন্য হওয়ার সাথে সাথে তা পূরণ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব বদলে গেছে এবং এখন প্রতি নিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সাথে তাল মিলাতে বাংলাদেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরকেও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে।

আনিসুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরনো বাংলাদেশ কিন্তু আর নেই। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি-না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ঠ সন্দেহ ছিল। সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে। এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে বিচারপ্রাপ্তির সংস্কৃতিতে এসেছি। সেজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা দুটোই বেড়েছে। এই প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা ধরে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হলেন বিচারকরা। বিচারকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত দায়িত্ব পালন করলে আদালতের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

ডিএএম/এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনার কথা জানালেন আইনমন্ত্রী

Update Time : ০৬:১৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, আগামী বছর ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪২তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন। আনিসুল হক বলেন, দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে। এটা নতুন করে তৈরি হয়েছে তা নয়, অতীতের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এ জট নিরসন করতে হবে। এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ। বিচার বিভাগের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিচারকদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইনষ্টিটিউটে একইসাথে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে।

তিনি বলেন, মামলাজট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ১১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও বিচার নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোন পদ শূন্য হওয়ার সাথে সাথে তা পূরণ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব বদলে গেছে এবং এখন প্রতি নিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সাথে তাল মিলাতে বাংলাদেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরকেও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে।

আনিসুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরনো বাংলাদেশ কিন্তু আর নেই। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি-না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ঠ সন্দেহ ছিল। সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে। এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে বিচারপ্রাপ্তির সংস্কৃতিতে এসেছি। সেজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা দুটোই বেড়েছে। এই প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা ধরে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হলেন বিচারকরা। বিচারকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত দায়িত্ব পালন করলে আদালতের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

ডিএএম/এসএম//