ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা পর্ষদ করে দিল হাইকোর্ট
- Update Time : ০৬:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- / ১ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় চার সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে।
পর্ষদে সদস্য হিসেবে আছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে থাকছেন।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ আজ এই পর্ষদ গঠন করে দেন।
আগামী ৩০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এ সময়ের মধ্যে পর্ষদকে বৈঠক করে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। আদালত বলেন, “কোম্পানি সংক্রান্ত ফৌজদারি অপরাধের বিচার প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। এ আদালত শুধু কোম্পানি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখবে।”
আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট এ কে এম বদরুজ্জামান। বাণিজ্য মন্ত্রলায়ের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট তাপস কান্তি বল।
এডভোকেট সৈয়দ মাহসিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ সংক্রান্ত আবেদনে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে ইভ্যালির ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিতে আরজি জানানো হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর আদালত ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেদিন আদালত বলেছিল, পরিচালনা পর্ষদ গঠনের আরজি বিবাদীদের উপস্থিতিতে বিবেচনা করা হবে। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্তির জন্য তিনজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের নাম প্রস্তাব করে। তাদের মধ্যে একজনকে রাখা হয়েছে পরিচালনা পর্ষদে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে নির্দেশ দেন আদালত। সে অনুযায়ী নথি দাখিল করা হয়।
আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, সব নথি দাখিল করা হয়েছে। যেহেতু এ কোম্পানিটির দুইজন মালিকই জেলে তাই একটি কমিটি গঠনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন আদালত।
এর আগে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় নথি তলবের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানিয়েছিলেন,আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইলফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছেন। কিন্তু এতদিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি। আবেদনকারী যোগাযোগ করার পর তাকে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু পণ্যটি দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি ইভ্যালি। যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি আবেদনকারী। তাই তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে কোম্পানিটির অবসায়ন চাওয়া হয়েছে। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আবেদনটি অ্যাডমিট করেন।
আবেদনে বিবাদী করা হয়-ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।
ডিএএম/এসএম//