বিচারপতি কে,এম হাফিজুল আলমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সদস্য নিয়োগ
- Update Time : ০৫:০৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
- / ৩ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে, এম হাফিজুল আলমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, ঢাকার সদস্য বিচারপতি আমির হোসেনের মৃত্যুজনিত কারণে দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) এক্ট, ১৯৭৩ এর সেকশন ৬ (৪) এর বিধান মোতাবেক সরকার উক্ত সদস্য পদটি শূন্য ঘোষণাসহ পদটিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে, এম, হাফিজুল আলমকে নিয়োগ করল।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বিচারপতি কে, এম, হাফিজুল আলম সদস্য পদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, ঢাকার দায়িত্ব পালনকালে বিধি মোতাবেক বেতন-ভাতাদি এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি পাবেন।’
গত ২৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আমির হোসেন মারা যান। তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আমির হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার মৃত্যুতে একজন সদস্য বিচারপতির পদ শূন্য হয়ে যায়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুস্টিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ইশতেহার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা। সে নির্বাচনে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বিজয়ী হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০০৯ সালের ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব পেশ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।অবশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৩৯ বছর পর মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ ট্রাইবুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়।
বিচার শেষে এ টাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ৪২ টি মামলার রায় হয়েছে। এসব মামলায় ৭১ আসামীর মৃত্যুদন্ডের রায় হয়েছে। আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে ২২ আসামির। খালাসের রায় পেয়েছেন একজন। রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল শুনানির পর ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং পরবর্তীতে রায় কার্যকর করা হয়েছে।
ফাঁসি হওয়া ৬ জন হলেন- জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাশেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী।
ডিএএম/এসএস//