Dhaka ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ

  • Update Time : ০৪:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • / ১২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুরের গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গৃহকর্মী খাদিজা বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো: আবদুল হালিম মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে আজ এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

ব্যারিস্টার হালিম আজ সারাদেশ এর আলাপকালে বলেন, এক বছর আগে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কি না এবং সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় কি জবাব দিয়েছে। এগুলো আজ পর্যন্ত জানানো হয়নি। এর আগে কমিশনে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছি যে, সুপারিশ বাস্তবায়নে কমিশনের হাইকোর্টে আসার সুযোগ রয়েছে। তারা হাইকোর্টেও মামলা করছে না। এক বছর ধরে খাদিজার পরিবার একটা আশার মধ্যে আছে। মানবাধিকার কমিশন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ কারণে মানবাধিকার কমিশনকে আজ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। ১৫ দিনের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে মানবাধিকার কমিশনের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

ব্যারিস্টার হালিম বলেন, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মিরপুর থানা পুলিশ গৃহকর্মী খাদিজাকে সুরক্ষা দিতে না পারায় এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানিতে খাদিজার নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় এই সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে উপযুক্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়। কমিশন তার আদেশে বলে, মিরপুর থানা মামলা না নিয়ে খাদিজার আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

মিরপুরের গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও সংস্থাটিকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে গত বছরের ২৩ জুন রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, মানবাধিকার কমিশন আইনে অর্পিত তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। গৃহকর্মী খাদিজা নির্যাতনের মতো মারাত্নক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে পরিষ্কার যে মানবাধিকার কমিশন তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ/সচেতন নয় এবং দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রতিকার দিতে মানবাধিকার কমিশন আইনে অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার পরিচয় দিয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় কমিশন চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং কমিশন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে।

২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়। এরপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

ডিএ/এম/কেকে/

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ

Update Time : ০৪:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুরের গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গৃহকর্মী খাদিজা বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো: আবদুল হালিম মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে আজ এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

ব্যারিস্টার হালিম আজ সারাদেশ এর আলাপকালে বলেন, এক বছর আগে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কি না এবং সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় কি জবাব দিয়েছে। এগুলো আজ পর্যন্ত জানানো হয়নি। এর আগে কমিশনে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছি যে, সুপারিশ বাস্তবায়নে কমিশনের হাইকোর্টে আসার সুযোগ রয়েছে। তারা হাইকোর্টেও মামলা করছে না। এক বছর ধরে খাদিজার পরিবার একটা আশার মধ্যে আছে। মানবাধিকার কমিশন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ কারণে মানবাধিকার কমিশনকে আজ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। ১৫ দিনের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে মানবাধিকার কমিশনের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

ব্যারিস্টার হালিম বলেন, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মিরপুর থানা পুলিশ গৃহকর্মী খাদিজাকে সুরক্ষা দিতে না পারায় এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানিতে খাদিজার নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় এই সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে উপযুক্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়। কমিশন তার আদেশে বলে, মিরপুর থানা মামলা না নিয়ে খাদিজার আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

মিরপুরের গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও সংস্থাটিকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে গত বছরের ২৩ জুন রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, মানবাধিকার কমিশন আইনে অর্পিত তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। গৃহকর্মী খাদিজা নির্যাতনের মতো মারাত্নক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে পরিষ্কার যে মানবাধিকার কমিশন তার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ/সচেতন নয় এবং দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রতিকার দিতে মানবাধিকার কমিশন আইনে অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার পরিচয় দিয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় কমিশন চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং কমিশন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে।

২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়। এরপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

ডিএ/এম/কেকে/