সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাসকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সময়ে তিনি সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না বলে জামিনের আদেশে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন আদালত।
এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি আদালতের আদেশের বিষয়টি সারাদেশকে জানান। তিনি বলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সময়ে তিনি সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না বলে জামিনের আদেশে বলা হয়েছে।
আদালতে ঝুমনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এডভোকেট জেড আই খান পান্না, এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অরাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ঝুমন দাসের জামিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।
গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য রাখেন। ওই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। তিনি স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। তবে এ সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকেন মামুনুলের অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পরেরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝুমন দাসের বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট করে। এরপর ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজের পর ঝুমন দাস হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। সে তার জামিন মঞ্জুর হয়।
ডিএএম/
Leave a Reply