সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
দেশের কারাগারগুলোতে চিকিৎসকের যেসব পদ শূন্য রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে।

কারাবন্দিদের চিকিৎসা সেবায় দেশের ৬৮ কারা হাসপাতালের ১৪১টি পদের বিপরীতে এখনো ২৯টি পদ খালি রয়েছে।

এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ দাখিল করেছে।

রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট জে আর খাঁন রবিন বিষয়টি সারাদেশকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত বলেছেন এসব শূন্যপদ পূরণ করতে।

তিনি বলেন, ‘আদালত প্রয়োজনীয় আরও চিকিৎসক দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ দিতে বলেছেন।’ তিনি বলেন, ‘সারা দেশের কারাগারগুলোতে মোট ১৪১ জন চিকিৎসক প্রয়োজন ছিল। এর মধ্যে ১১২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শূন্য ২৯ পদেও খুব শিগগির নিয়োগ দেয়া হবে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।’

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।

২০১৯ সালে এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন (রবিন)। পরে একই সালের ২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশও দেন আদালত।

পরে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা, অনুপাত এবং কারা চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা করে প্রতিবেদন দাখিল করে।

আদেশ অনুযায়ী দেয়া প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক মাত্র ৯ জন। এতে আরও বলা হয়, ২০ জন চিকিৎসককে বিভিন্ন কারাগারে পদায়ন করা হলেও ১৬ চিকিৎসক তখন পর্যন্ত যোগ দেননি। এরপর আদালত শূন্যপদ পূরণ করতে বলেন।

ফের কারা কর্তৃপক্ষের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪১। কর্মরত চিকিৎসককের সংখ্যা ১১২ জন (প্রেষণে ৭, সংযুক্ত ১০৫)। বর্তমানে শূন্যপদ রয়েছে ২৯টি।

ডিএএম/এসএস//