Dhaka ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

মানবপাচারে অভিযুক্ত কোব্বাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ভুক্তভোগী

  • Update Time : ০৬:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২ Time View

আদালত প্রতিবেদক:
রাজধানীর শনির আখড়ায় উম্মুল কুরা মাহিলা মাদ্রাসা থেকে ১৭ বছর বয়সী নাবালিকা শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বিদেশে পাচারে যৌন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুর রহমান কোব্বাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

মাদ্রাসা থেকে কৌশলে তুলে নিয়ে নিজ বাসায় এক সপ্তাহ আটকে রেখে আবদুর রহমান কোব্বাদী তার সহযোগী ওই ছাত্রীর ওপর চালায় যৌন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে মধ্যপ্রাচ্যে পাচার করার চেষ্টা চালায় আসামিগন। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় তার ওপর চালানো হয় যৌন নির্যাতন ও নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। প্রথমে মাদ্রাসা থেকে নিখোজঁ হওয়ার পর ভুক্তভোগী ও ছাত্রির পরিবার তাকে নানা স্থানে খুজঁতে থাকে। খুজেঁ না পেয়ে রাজধানীর তেজগাওঁ শিল্পাঞ্চল থানায় জিডি করা হয় (নং-৪৪৪)। জিডির পর আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে আসামী আবদুর রহমান কোব্বাদীর স্ত্রী মরিয়ম ভুক্তভোগীর পরিবারকে তার অবস্থানের কথা জানালে উদ্ধার হন ওই শিক্ষার্থী।

পরে এ ঘটনায় তেজগাওঁ শিল্পাঞ্চল থানায় ধারা-২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮-এ ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু করা হয়। এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) তেজাগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাব-ইন্সপেক্টর খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার আসামি আবদুর রহমান কোব্বাদী ও তার স্ত্রী এবং অপরাধের সহযোগী মরিয়ম বেগমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমানের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১ মার্চ এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় (অভিযোগ পত্র নং-৮৫)।

মামলা দায়েরের পর আসামি আবদুর রহমান কোব্বাদী গ্রেফতার হন। ভুক্তভোগীর পরিবার আসামি আবদুর রহমান কোব্বাদী কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ তুলেন। মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর আদালতে মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গৃহিতে তারিখ ধার্য রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

ভুক্তভোগীর পরিবার আসামি মানবপাচারে অভিযুক্ত আবদুর রহমান কোব্বাদীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রত্যাশা করছেন। পরিবারটি জানায়, ওই ঘটনায় পর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ভীত। ভয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না ওই ছাত্রী। পাশাপাশি এ ঘটনায় পরিবারটিই এখন বিপর্যস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। আবদুর রহমান কোব্বাদী আয়শা ছিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

এমএইচবি/ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মানবপাচারে অভিযুক্ত কোব্বাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ভুক্তভোগী

Update Time : ০৬:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

আদালত প্রতিবেদক:
রাজধানীর শনির আখড়ায় উম্মুল কুরা মাহিলা মাদ্রাসা থেকে ১৭ বছর বয়সী নাবালিকা শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বিদেশে পাচারে যৌন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুর রহমান কোব্বাদীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

মাদ্রাসা থেকে কৌশলে তুলে নিয়ে নিজ বাসায় এক সপ্তাহ আটকে রেখে আবদুর রহমান কোব্বাদী তার সহযোগী ওই ছাত্রীর ওপর চালায় যৌন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে মধ্যপ্রাচ্যে পাচার করার চেষ্টা চালায় আসামিগন। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় তার ওপর চালানো হয় যৌন নির্যাতন ও নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। প্রথমে মাদ্রাসা থেকে নিখোজঁ হওয়ার পর ভুক্তভোগী ও ছাত্রির পরিবার তাকে নানা স্থানে খুজঁতে থাকে। খুজেঁ না পেয়ে রাজধানীর তেজগাওঁ শিল্পাঞ্চল থানায় জিডি করা হয় (নং-৪৪৪)। জিডির পর আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে আসামী আবদুর রহমান কোব্বাদীর স্ত্রী মরিয়ম ভুক্তভোগীর পরিবারকে তার অবস্থানের কথা জানালে উদ্ধার হন ওই শিক্ষার্থী।

পরে এ ঘটনায় তেজগাওঁ শিল্পাঞ্চল থানায় ধারা-২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮-এ ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু করা হয়। এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) তেজাগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাব-ইন্সপেক্টর খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার আসামি আবদুর রহমান কোব্বাদী ও তার স্ত্রী এবং অপরাধের সহযোগী মরিয়ম বেগমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমানের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১ মার্চ এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় (অভিযোগ পত্র নং-৮৫)।

মামলা দায়েরের পর আসামি আবদুর রহমান কোব্বাদী গ্রেফতার হন। ভুক্তভোগীর পরিবার আসামি আবদুর রহমান কোব্বাদী কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ তুলেন। মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর আদালতে মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গৃহিতে তারিখ ধার্য রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

ভুক্তভোগীর পরিবার আসামি মানবপাচারে অভিযুক্ত আবদুর রহমান কোব্বাদীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রত্যাশা করছেন। পরিবারটি জানায়, ওই ঘটনায় পর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও ভীত। ভয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না ওই ছাত্রী। পাশাপাশি এ ঘটনায় পরিবারটিই এখন বিপর্যস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। আবদুর রহমান কোব্বাদী আয়শা ছিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

এমএইচবি/ডিএএম//