নিজস্ব প্রতিবেদক :
মহামারি করোনাকে জয় করে ৫৪৩ দিন পর দেশের স্কুল-কলেজে খুলেছে।
স্কুলে ফেরার অপেক্ষা শেষ হলো শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন সরাসরি পাঠদান বন্ধ রাখার ‘নজির’ ছেদ করে সরাসরি ক্লাসরুমে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মাঝেও আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
করোনার ছোবলে ৫৪৩ দিন আগে গত বছর ১৭ মার্চ সরকার দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এরপর এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত একাধিকবার শ্রেণি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সংক্রমণের দাপটে তা আর হয়ে ওঠেনি।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, কোথাও সংক্রমণের হার একটানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশে স্থিতিশীল থাকলেই সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে শনিবারও সংক্রমণের হার ৭ শতাংশের ওপরে ছিল। অবশ্য এটা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দেড় শতাংশ কম। সেই হিসাবে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি পাঠদানের জন্য ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৩ কোটি শিক্ষার্থী।
ঘরবন্দি শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দে উদ্বেলিত, তেমনি উচ্ছ্বসিত শিক্ষকরাও। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসার আনন্দে মাতোয়ারা ছাত্রছাত্রীরা। এক সপ্তাহ ধরে তারা স্কুলব্যাগ, ড্রেস, জুতা ইত্যাদি কিনে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের স্বাগত জানাতে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও প্রস্তুত। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের স্কুল-কলেজ অনেকটাই নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তবু অভিভাবকরা কিছুটা অস্বস্তি আর উদ্বেগে আছেন। সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সরাসরি ক্লাসরুমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও আনন্দিত। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর জাতীয় সংক্রমণ যাতে বেড়ে না যায় সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানাই। শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই। আমরা শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়েছে। এরপরও আমরা দৈনিক প্রত্যেকটি স্কুল মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ঢাকায় আসা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করব।
এসএম/কেকে//
Leave a Reply