Dhaka ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

জাপানি দুই শিশুকে নিয়ে তাদের মা-বাবাকে ১৫ দিন একই ফ্ল্যাটে থাকতে হাইকোর্ট নির্দেশ

  • Update Time : ০৪:০৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১
  • / ৩ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
দুই শিশুকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরানকে গুলশানের একটি বাসায় ১৫ দিন একসঙ্গে থাকতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বলেন, বাচ্চাসহ সকলের কথা শুনেছি। গুলশানের একটি বাসায় বাবা-মাসহ বাচ্চারা ১৫ দিন থাকবেন। ঢাকার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তদারকি করবেন। পরিবারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ সকালে শুনানির শুরুতে মায়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতকে বলেন, ‘বাচ্চাদের মা ঢাকার বারিধারায় একটি বাসা ভাড়া করেছে। আমরা চাই ওই বাসায় বাচ্চারা মায়ের সাথে থাকুক। বাচ্চাদের বাবাও তার মত করে ওই বাসায় আসুক-থাকুক। কারণ, এইকয়দিনে বাচ্চাদের মধ্যে যে একটা ট্রমা তৈরি হয়েছে তা কাটুক। তারপর আপনারা এবিষয়ে চূড়ান্ত কোন আদেশ দেন।’

বাবার পক্ষে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম বলেন, ‘বাচ্চারা বাবার বাসায় থাকুন। মা বাচ্চাদের দেখতে আসুক কোন সমস্যা নেই। মা যে বাসাটার কথা বলছে সে এরিয়ায় বাচ্চাদের থাকার বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে।’

শুনানিতে দুপক্ষের এমন দ্বিমুখী অবস্থানে প্রেক্ষাপটে আদালত বলেন, ‘আমরা চাই বাচ্চা দুটি পারিবারিক পরিবেশে থাকুক। আপনারা একটু পজিটিভলি ভাবুন।’

এরপর বাবার পক্ষে আইনজীবী আদালতকে বলেন, দু-পক্ষ একটু বসে সিদ্ধান্ত নেই। তারপর জানাই। এরপর আদালত এবিষয়ে আদেশের জন্য বেলা ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন। ৩ টায় পুনরায় আদালতে বিষয়টি উত্থাপিত হলে দু’পক্ষই ফের একমত হতে পারছিলেন না। পরে আদালত ওই আদেশ দেন।

দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে গত ১৯ আগস্ট জাপানি নারীর করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে দুই মেয়েসহ তাদের বাবা ও ফুপুকে আজ ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এছাড়া ওই দুই মেয়েকে নিয়ে বাবা ৩০ দিন বিদেশ যেতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এরপর দুই মেয়েকে বাবার হেফাজত থেকে সিআইডি উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। এবিষয়টি গত ২৩ আগস্ট মেয়েদের বাবার পক্ষের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম আদালতের নজরে আনেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিশুদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেই রাখার নির্দেশ দেন। এসময়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মা ও বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাবা শিশুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেন আদালত। সে অনুযায়ী বা-মা শিশুদের সাথে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে সময় দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের আইনজীবী আদালতে এসে জানান শিশুদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। তখন আদালত উভয় পক্ষকে বলেন কোথায় থাকলে ভালো হয় সে বিষয়ে সমঝোতা করে সিদ্ধান্ত জানাতে।

গতকাল রাত পর্যন্ত বাবা-মা এবিষয়ে একমত হয়ে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি বলে জানান দুই পক্ষের আইনজীবীই। পরে আজ উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ এবং দুই বাচ্চাসহ তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন আদালত।

ডিএএম/এসকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জাপানি দুই শিশুকে নিয়ে তাদের মা-বাবাকে ১৫ দিন একই ফ্ল্যাটে থাকতে হাইকোর্ট নির্দেশ

Update Time : ০৪:০৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
দুই শিশুকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরানকে গুলশানের একটি বাসায় ১৫ দিন একসঙ্গে থাকতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বলেন, বাচ্চাসহ সকলের কথা শুনেছি। গুলশানের একটি বাসায় বাবা-মাসহ বাচ্চারা ১৫ দিন থাকবেন। ঢাকার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তদারকি করবেন। পরিবারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ সকালে শুনানির শুরুতে মায়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতকে বলেন, ‘বাচ্চাদের মা ঢাকার বারিধারায় একটি বাসা ভাড়া করেছে। আমরা চাই ওই বাসায় বাচ্চারা মায়ের সাথে থাকুক। বাচ্চাদের বাবাও তার মত করে ওই বাসায় আসুক-থাকুক। কারণ, এইকয়দিনে বাচ্চাদের মধ্যে যে একটা ট্রমা তৈরি হয়েছে তা কাটুক। তারপর আপনারা এবিষয়ে চূড়ান্ত কোন আদেশ দেন।’

বাবার পক্ষে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম বলেন, ‘বাচ্চারা বাবার বাসায় থাকুন। মা বাচ্চাদের দেখতে আসুক কোন সমস্যা নেই। মা যে বাসাটার কথা বলছে সে এরিয়ায় বাচ্চাদের থাকার বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে।’

শুনানিতে দুপক্ষের এমন দ্বিমুখী অবস্থানে প্রেক্ষাপটে আদালত বলেন, ‘আমরা চাই বাচ্চা দুটি পারিবারিক পরিবেশে থাকুক। আপনারা একটু পজিটিভলি ভাবুন।’

এরপর বাবার পক্ষে আইনজীবী আদালতকে বলেন, দু-পক্ষ একটু বসে সিদ্ধান্ত নেই। তারপর জানাই। এরপর আদালত এবিষয়ে আদেশের জন্য বেলা ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন। ৩ টায় পুনরায় আদালতে বিষয়টি উত্থাপিত হলে দু’পক্ষই ফের একমত হতে পারছিলেন না। পরে আদালত ওই আদেশ দেন।

দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে গত ১৯ আগস্ট জাপানি নারীর করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে দুই মেয়েসহ তাদের বাবা ও ফুপুকে আজ ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এছাড়া ওই দুই মেয়েকে নিয়ে বাবা ৩০ দিন বিদেশ যেতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এরপর দুই মেয়েকে বাবার হেফাজত থেকে সিআইডি উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। এবিষয়টি গত ২৩ আগস্ট মেয়েদের বাবার পক্ষের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম আদালতের নজরে আনেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিশুদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেই রাখার নির্দেশ দেন। এসময়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মা ও বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাবা শিশুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেন আদালত। সে অনুযায়ী বা-মা শিশুদের সাথে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে সময় দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের আইনজীবী আদালতে এসে জানান শিশুদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। তখন আদালত উভয় পক্ষকে বলেন কোথায় থাকলে ভালো হয় সে বিষয়ে সমঝোতা করে সিদ্ধান্ত জানাতে।

গতকাল রাত পর্যন্ত বাবা-মা এবিষয়ে একমত হয়ে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি বলে জানান দুই পক্ষের আইনজীবীই। পরে আজ উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ এবং দুই বাচ্চাসহ তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন আদালত।

ডিএএম/এসকে//