নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণে রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭২৪ জন। আজ ৩০ আগস্ট সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় করোনায় মৃত্যু বাড়লেও নতুন রোগী ও রোগী শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন করোনায় ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৯৪৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ৮৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ১০৯ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ২১ হাজার ৮৮৩ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৮৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৯৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে নারী ৪৯ জন এবং পুরুষ ৪৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। ২৭ জুন করোনায় দৈনিক মৃত্যু ১০০ ছাড়ায়। এরপর তা বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন হয়েছিল গত ৫ ও ১০ আগস্টে।
এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। টিকাদান বাড়তে থাকায় মাসের শেষ দিকে এসে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। তবে এখনই করোনা নিয়ে স্বস্তির কিছু নেই বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার ৭৪১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮১ জনের। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরে বেশি মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিল ও ভারতে।
ডিএএম/এসএম//
Leave a Reply