বিশেষ প্রতিনিধি:
চলতি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে অসহায়, দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ১৪ হাজার ৩৯২ জন বিচারপ্রার্থীকে সরকারি খরচায় আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কল সেন্টার বা হট লাইনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ ও তথ্য সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৭ হাজার ১০৫ জন। এছাড়াও বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (এডিআর) করা হয়েছে ৭০৩ টি। এর মধ্যে মামলা দায়েরের পূর্বে (প্রি-কেইস ম্যানেজমেন্ট) ৬৬৫ টি এবং মামলা দায়েরের পর ৩৮ টি।
মহামারি করোনা সংকটেও জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার আইনি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। করোনার মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে করোনার এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আইন সহায়তা প্রত্যাশীরা অফিসের নির্ধারিত নাম্বারে (০১৭০০-৭৮৪২৭০) যোগাযোগ করলেই আইনি পরামর্শ পাচ্ছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) আইনি সেবা অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে আগত আইনগত সহায়তা প্রত্যাশীদের অফিসে মাস্ক পরিধান তথা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা আছে। তবে বিচারপ্রার্থীদের অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় অফিস থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে স্থাপিত এ অফিসের প্রবেশ মূখেই প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় রাখা আছে।
আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল,সহায় সম্ভলহীন,অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রনয়ন করে। ২০০০সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রনয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকার গুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামীলীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
২০০০ সালে প্রনীত আইনটি অনুযায়ি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ গঠন করা হয়। রাজধানীর ১৪৫, নেউ বেইলী রোডে এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর ব্যাপ্তি সুপ্রিমকোর্ট, দেশের অধঃস্তন আদালত, শ্রম আদালত, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এখন প্রতিষ্ঠিত। জেলা কমিটি গঠন, প্রতিটি জেলা জজ আদালতে এর কার্যালয় রয়েছে। নানা প্রচার, প্রচরণা, সেমিনার-কর্মশালা ও প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এ সেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সবোকে অরো সহজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে । এ ওয়েবসাইটে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ে বিস্তরিত সকল তথ্য জানা যায়।
ডিএএম/এসকে//
Leave a Reply