Dhaka ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

ফোনে আড়িপাতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

  • Update Time : ০২:৫০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১
  • / ৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফোনে আড়িপাতা বন্ধ ও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আজ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবী আজ মঙ্গলবার এই রিটটি করেছেন। বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রিটটির শুনানি হবে বলে সারাদেশ’কে জানিয়েছেন রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

আড়ি পাতা প্রতিরোধ ও ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনায় কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন : এডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, এডভোকেট উত্তম কুমার বনিক, এডভোকেট শাহ্ নাভিলা কাশফি, এডভোকেট ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, এডভোকেট মোহাম্মদ নওয়াব আলী, এডভোকেট মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, এডভোকেট জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), এডভোকেট ইমরুল কায়েস ও এডভোকেট একরামুল কবির।

রিট আবেদনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করার পাশাপাশি রিটের পক্ষে সুনির্দিষ্ট চারটি আইনি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়ছে। যেখানে বলা হয় : ১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০১ এর ৩০ (চ) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের দায়িত্ব হল নাগরিকের ‘টেলিযোগযোগের একান্ততা গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু এক্ষেত্রে কমিশন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

২) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘নাগরিকের গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার। কিন্তু কমিশন সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের বিধান প্রতিপালনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

৩) অন্তত ২০টি ঘটনা ফাঁসের তথ্য উপস্থাপন করে কমিশনকে আইনি নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও কমিশন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোন জবাব প্রদান করেনি।

৪) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০১ এর ৭১ ধারা অনুযায়ী আড়িপাতা দণ্ডনীয় অপরাধ। যেখানে দোষী ব্যক্তি দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। অথচ আজ অবধি কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করেনি।

এর আগে ফোনালাপে আড়ি পাতা প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চেয়ে গত ২২ জুন ১০ আইনজীবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশের জবাব না পেয়ে আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দাখিল করা হয় ।

এডভোকেট শিশির মনির বলেন,সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম। ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয়। বিটিআরসি আইনের ৩০ (চ) ধারা অনুসারে টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এ ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে।

অথচ দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হলো, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭১ ধারা অনুযায়ী আড়ি পাতা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে দোষী ব্যক্তি দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অথচ কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কারও বিরুদ্ধে মামলা করেনি।

ডিএএম/এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ফোনে আড়িপাতা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

Update Time : ০২:৫০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফোনে আড়িপাতা বন্ধ ও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আজ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবী আজ মঙ্গলবার এই রিটটি করেছেন। বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রিটটির শুনানি হবে বলে সারাদেশ’কে জানিয়েছেন রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

আড়ি পাতা প্রতিরোধ ও ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনায় কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন : এডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, এডভোকেট উত্তম কুমার বনিক, এডভোকেট শাহ্ নাভিলা কাশফি, এডভোকেট ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, এডভোকেট মোহাম্মদ নওয়াব আলী, এডভোকেট মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, এডভোকেট জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), এডভোকেট ইমরুল কায়েস ও এডভোকেট একরামুল কবির।

রিট আবেদনে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ২০টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করার পাশাপাশি রিটের পক্ষে সুনির্দিষ্ট চারটি আইনি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়ছে। যেখানে বলা হয় : ১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০১ এর ৩০ (চ) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের দায়িত্ব হল নাগরিকের ‘টেলিযোগযোগের একান্ততা গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু এক্ষেত্রে কমিশন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

২) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘নাগরিকের গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার। কিন্তু কমিশন সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের বিধান প্রতিপালনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

৩) অন্তত ২০টি ঘটনা ফাঁসের তথ্য উপস্থাপন করে কমিশনকে আইনি নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও কমিশন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোন জবাব প্রদান করেনি।

৪) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০১ এর ৭১ ধারা অনুযায়ী আড়িপাতা দণ্ডনীয় অপরাধ। যেখানে দোষী ব্যক্তি দুই বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। অথচ আজ অবধি কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করেনি।

এর আগে ফোনালাপে আড়ি পাতা প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চেয়ে গত ২২ জুন ১০ আইনজীবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশের জবাব না পেয়ে আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দাখিল করা হয় ।

এডভোকেট শিশির মনির বলেন,সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে উল্লেখিত মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম। ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয়। বিটিআরসি আইনের ৩০ (চ) ধারা অনুসারে টেলিযোগাযোগের একান্ততা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এ ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে।

অথচ দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হলো, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭১ ধারা অনুযায়ী আড়ি পাতা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে দোষী ব্যক্তি দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অথচ কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কারও বিরুদ্ধে মামলা করেনি।

ডিএএম/এসএম//