Dhaka ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

লজ্জার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার, শেষটাও রাঙালো বাংলাদেশ

  • Update Time : ০৯:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১
  • / ০ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক :
টিম বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তারপরও শেষটা রাঙানোর প্রবল ইচ্ছা ছিল টাইগারদের। আর সেটা হলো বেশ দাপটের সাথেই।

লজ্জার রেকর্ডে ম্লান হলো অস্ট্রেলিয়া। ৬০ রানের দাপুটে জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের হাসি বাংলাদেশের।

আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১২২ রান করে বাাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৬২ রানে অল আউট অস্ট্রেলিয়া।

টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার এটি সর্বনিম্ন স্কোর। আগেরটি ছিল ৭৯ রানের, ২০০৫ সালে সাউদাম্পটনে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

মিরপুরে ১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুকতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩ রানে হারায় প্রথম উইকেট। আগের ম্যাচে সাকিবের ওভার ছক্কার বন্যা বইয়ে দেয়া ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে বোল্ড করে দেন নাসুম আহমেদ। ৩ বলে তিন রান করে সাজঘরে ফেরেন অজি ওপেনার।

সিরিজের ধারাবাহিক রানের মধ্যে থাকা মিচেল মার্শকেও ফেরান নাসুম। দলীয় ১৭ রানে নাসুমের এলবিডব্লিউর শিকার তিনি। ৯ বল খেলেও থিতু হতে পারেননি মার্শ। করতে পারেন মাত্র ৪ রান।

এরপর অবশ্য অজি অধিনায়ক ওয়েড ও ডারমট হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৮ রানে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ওয়েডকে বোল্ড করে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২২ বলে ২২ রান করেন ওয়েড। চলতি সিরিজে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ওয়েডের।

ওয়েডের বিদায়ের পর মোড়ক লাগে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। ২২ রানের মধ্যে দলটি হারায় বাকি সাত উইকেট। দলীয় ৪৮ রানে ডারমটকে নিজের বলে ক্যাচ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

১৬ বলে এক ছক্কায় ১৭ রান করেন ডারমট। কিছুক্ষণ পর আলেক্স কেরিকে বোল্ড করেন দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। সাত বল খেলা কেরি করেন মাত্র ৩ রান। একই ওভারে হেনরিকসকেও ফেরান সাইফউদ্দিন। সাত বলে তিন রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হেনরিকস।

পরের ওভারে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ বানান সাকিব আল হাসান। ১৩তম ওভারে আবার সাইফউদ্দিনের আঘাত। এবার তিনি বোল্ড করেন ৪ বলে দুই রান করা অ্যাস্টন অ্যাগারকে।

অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৫৮ রানে ফেরান এলিসকে। ৬২ রানে সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন জাম্পা। আর তাতেই কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া।

সাইফউদ্দিনও ছিলেন দারুণ। ৩ ওভারে ১২ রানে তিন উইকেট। মোস্তাফিজের বোলিংই করার দরকার হয়নি। এক ওভার বল করেছেন, রান দিয়েছেন তিন। নাসুম আহমেদ ২ ওভারে ৮ রানে দুটি উইকেট নেন।

বল হাতে দুর্দান্ত করেন সাকিব আল হাসান। ৩.৪ ওভারে এক মেডেনে ৯ রানে চারটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

এসএম/কেকে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

লজ্জার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার, শেষটাও রাঙালো বাংলাদেশ

Update Time : ০৯:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক :
টিম বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তারপরও শেষটা রাঙানোর প্রবল ইচ্ছা ছিল টাইগারদের। আর সেটা হলো বেশ দাপটের সাথেই।

লজ্জার রেকর্ডে ম্লান হলো অস্ট্রেলিয়া। ৬০ রানের দাপুটে জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের হাসি বাংলাদেশের।

আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১২২ রান করে বাাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৬২ রানে অল আউট অস্ট্রেলিয়া।

টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার এটি সর্বনিম্ন স্কোর। আগেরটি ছিল ৭৯ রানের, ২০০৫ সালে সাউদাম্পটনে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

মিরপুরে ১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুকতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩ রানে হারায় প্রথম উইকেট। আগের ম্যাচে সাকিবের ওভার ছক্কার বন্যা বইয়ে দেয়া ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে বোল্ড করে দেন নাসুম আহমেদ। ৩ বলে তিন রান করে সাজঘরে ফেরেন অজি ওপেনার।

সিরিজের ধারাবাহিক রানের মধ্যে থাকা মিচেল মার্শকেও ফেরান নাসুম। দলীয় ১৭ রানে নাসুমের এলবিডব্লিউর শিকার তিনি। ৯ বল খেলেও থিতু হতে পারেননি মার্শ। করতে পারেন মাত্র ৪ রান।

এরপর অবশ্য অজি অধিনায়ক ওয়েড ও ডারমট হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৮ রানে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ওয়েডকে বোল্ড করে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২২ বলে ২২ রান করেন ওয়েড। চলতি সিরিজে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ওয়েডের।

ওয়েডের বিদায়ের পর মোড়ক লাগে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। ২২ রানের মধ্যে দলটি হারায় বাকি সাত উইকেট। দলীয় ৪৮ রানে ডারমটকে নিজের বলে ক্যাচ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

১৬ বলে এক ছক্কায় ১৭ রান করেন ডারমট। কিছুক্ষণ পর আলেক্স কেরিকে বোল্ড করেন দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। সাত বল খেলা কেরি করেন মাত্র ৩ রান। একই ওভারে হেনরিকসকেও ফেরান সাইফউদ্দিন। সাত বলে তিন রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হেনরিকস।

পরের ওভারে অ্যাস্টন টার্নারকে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ বানান সাকিব আল হাসান। ১৩তম ওভারে আবার সাইফউদ্দিনের আঘাত। এবার তিনি বোল্ড করেন ৪ বলে দুই রান করা অ্যাস্টন অ্যাগারকে।

অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৫৮ রানে ফেরান এলিসকে। ৬২ রানে সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন জাম্পা। আর তাতেই কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া।

সাইফউদ্দিনও ছিলেন দারুণ। ৩ ওভারে ১২ রানে তিন উইকেট। মোস্তাফিজের বোলিংই করার দরকার হয়নি। এক ওভার বল করেছেন, রান দিয়েছেন তিন। নাসুম আহমেদ ২ ওভারে ৮ রানে দুটি উইকেট নেন।

বল হাতে দুর্দান্ত করেন সাকিব আল হাসান। ৩.৪ ওভারে এক মেডেনে ৯ রানে চারটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

এসএম/কেকে//