Dhaka ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

দর্জি থেকে বড় নেতা ভুঁইফোড় মনির

  • Update Time : ১২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে সংগঠনের সভাপতি দাবিদার মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিতর্কিত ব্যবসায়ী নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীরের পর এই ভুঁইফোঁড় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

একসময় দর্জির দোকানে কাটিং মাস্টারের কাজ করতেন মনির। সেখান থেকে অল্পদিনের ব্যবধানে ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে বড় নেতা বনে যান তিনি। দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার অভিযোগ ও বাদীর অভিযোগে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মামলায় মনির খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবি ব্যবহার করেন। নিজেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দাবি করেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবির সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়েছেন আসামি মনির।

মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন জানান, দর্জি মনিরকে তিনি ১৫ বছর ধরে চেনেন। একসময় মনির কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি দর্জির দোকানে কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি এলিফ্যান্ট রোডের একটি দোকানে চাকরি নেন। পরে মনির নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। মনিরের সহযোগীরা ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিচ্ছেন। গত ৩০ জুলাই মনির খান তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেন।

মনির জমির দালালি এবং তদবির-বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন।

‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতি হওয়ার খবর এলে সম্প্রতি তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ। এরপরই ভুঁইফোড় ও সময় বুঝে গড়া আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সংগঠনের নাম প্রকাশ পেতে শুরু করে। এখন এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানে অঅওয়ামী লীগ।

এসএস/একে//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দর্জি থেকে বড় নেতা ভুঁইফোড় মনির

Update Time : ১২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে সংগঠনের সভাপতি দাবিদার মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিতর্কিত ব্যবসায়ী নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীরের পর এই ভুঁইফোঁড় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

একসময় দর্জির দোকানে কাটিং মাস্টারের কাজ করতেন মনির। সেখান থেকে অল্পদিনের ব্যবধানে ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে বড় নেতা বনে যান তিনি। দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার অভিযোগ ও বাদীর অভিযোগে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মামলায় মনির খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবি ব্যবহার করেন। নিজেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দাবি করেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবির সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়েছেন আসামি মনির।

মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন জানান, দর্জি মনিরকে তিনি ১৫ বছর ধরে চেনেন। একসময় মনির কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি দর্জির দোকানে কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি এলিফ্যান্ট রোডের একটি দোকানে চাকরি নেন। পরে মনির নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। মনিরের সহযোগীরা ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিচ্ছেন। গত ৩০ জুলাই মনির খান তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেন।

মনির জমির দালালি এবং তদবির-বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন।

‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতি হওয়ার খবর এলে সম্প্রতি তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ। এরপরই ভুঁইফোড় ও সময় বুঝে গড়া আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সংগঠনের নাম প্রকাশ পেতে শুরু করে। এখন এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানে অঅওয়ামী লীগ।

এসএস/একে//