লকডাউনে হাইকোর্ট ও অধঃস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম
- Update Time : ১০:২৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
- / ০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনে হাইকোর্ট ও অধঃস্তন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালিত হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুপ্রিমকোর্টের ফুল কোর্ট সভায় সর্বসম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ওই সভা হয়। সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গতকাল ২৩ জুলাই বিকাল ৫ টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ফুলকোর্ট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কঠোর লকডাউনের সময় সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে।
এই সময়ে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট ও দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং কোম্পানি ও এডমিরালটি সংক্রান্তে একটি করে মোট তিনটি বেঞ্চে হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে অতীব জরুরী বিষয়ে শুনানি করবেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদান করবেন।’
সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র জানান, ফুলকোর্ট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আরও সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দের টিকা গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য ফুলকোর্ট সভায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রত্যেক জেলা জজ আদালতে জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজন অনুযায়ী ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে শুনানি ও নিস্পত্তি করবেন। এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারিরীক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
লকডাউনে হাইকোর্ট ও অধঃস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিস্তারিত সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল।
পাশাপাশি ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ আরোপে ঘোষণা দেয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন চলছে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিবি ও সেনাবাহিনী কঠোর লকডাউন পালনে তৎপর রয়েছেন।
ডিএএম//