Dhaka ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

কঠোর লকডাউনে হাইকোর্টের তিন বেঞ্চে চলবে বিচারকার্য

  • Update Time : ০৪:২১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলাকালীন কাল ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভার্চুয়ালি হাইকোর্টের তিনটি বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালিত হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ শনিবার পৃথক এই তিনটি একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ অতীব জরুরী সকল প্রকার রিট মোশন, দেওয়ানি মোশন ও তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। আর বিচারপতি জে. বি. এম. হাসানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ অতীব জরুরী সকল প্রকার ফৌজদারি মোশন ও তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদিম অধিক্ষেত্রাধীন অতীব জরুরী বিষয়; সাকসেশন আইন অনুযায়ী ইচ্ছাপত্র ও ইচ্ছাপত্র ব্যাতিরেকে মৃত ব্যক্তির বিষয়বস্তুর অধিক্ষেত্র, বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী মোকদ্দমা, প্রাইজ কোর্ট বিষয়সহ এ্যাডমিরেলটি কোর্ট আইনের অধিক্ষেত্রাধীন মোকদ্দমা, মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিন্যান্স এর অধীনে আবেদনপত্র, ট্রেডমার্ক আইনের অধীন আবেদনপত্র, কোম্পানী আইন অনুযায়ী আবেদনপত্র, ব্যাংক কোম্পানী আইন অনুযায়ী আবেদনপত্র এবং সালিশ আইন অনুযায়ী আপীল ও আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন।

সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে গতকাল ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় চলমান লকডাউনে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্ট ও দেশের অধঃস্তন আদালতের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়

সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ফুলকোর্ট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আরও সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দের টিকা গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য ফুলকোর্ট সভায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রত্যেক জেলা জজ আদালতে জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজন অনুযায়ী ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে শুনানি ও নিস্পত্তি করবেন। এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারিরীক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

লকডাউনে হাইকোর্ট ও অধঃস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিস্তারিত সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। পাশাপাশি ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ আরোপে ঘোষণা দেয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন চলছে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিবি ও সেনাবাহিনী কঠোর লকডাউন পালনে তৎপর রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কঠোর লকডাউনে হাইকোর্টের তিন বেঞ্চে চলবে বিচারকার্য

Update Time : ০৪:২১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলাকালীন কাল ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভার্চুয়ালি হাইকোর্টের তিনটি বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালিত হবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ শনিবার পৃথক এই তিনটি একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ অতীব জরুরী সকল প্রকার রিট মোশন, দেওয়ানি মোশন ও তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। আর বিচারপতি জে. বি. এম. হাসানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ অতীব জরুরী সকল প্রকার ফৌজদারি মোশন ও তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদিম অধিক্ষেত্রাধীন অতীব জরুরী বিষয়; সাকসেশন আইন অনুযায়ী ইচ্ছাপত্র ও ইচ্ছাপত্র ব্যাতিরেকে মৃত ব্যক্তির বিষয়বস্তুর অধিক্ষেত্র, বিবাহ বিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী মোকদ্দমা, প্রাইজ কোর্ট বিষয়সহ এ্যাডমিরেলটি কোর্ট আইনের অধিক্ষেত্রাধীন মোকদ্দমা, মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিন্যান্স এর অধীনে আবেদনপত্র, ট্রেডমার্ক আইনের অধীন আবেদনপত্র, কোম্পানী আইন অনুযায়ী আবেদনপত্র, ব্যাংক কোম্পানী আইন অনুযায়ী আবেদনপত্র এবং সালিশ আইন অনুযায়ী আপীল ও আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন।

সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে গতকাল ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় চলমান লকডাউনে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্ট ও দেশের অধঃস্তন আদালতের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়

সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ফুলকোর্ট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আরও সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দের টিকা গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য ফুলকোর্ট সভায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রত্যেক জেলা জজ আদালতে জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজন অনুযায়ী ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে শুনানি ও নিস্পত্তি করবেন। এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারিরীক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

লকডাউনে হাইকোর্ট ও অধঃস্তন আদালতে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিস্তারিত সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। পাশাপাশি ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ আরোপে ঘোষণা দেয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন চলছে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিবি ও সেনাবাহিনী কঠোর লকডাউন পালনে তৎপর রয়েছেন।