নিজস্ব প্রতিবেদক :
সৎ চাচার নিষ্ঠুর আচরন ও বেআইনি কার্যক্রম হতে রক্ষাসহ অসহায় বিধবা মাকে নিয়ে নিজ নামীয় ফ্লাটসমুহে বসবাস ও ভোগ ব্যবহার করতে এটর্নি জেনারেলের নিকট ১২ বছরে এতিম আনান রহমানের আকুতি।
এ অসহায় এতিম শিশু আনান তার বিদ্যমান দূর্দশা ও বাস্তবতা বর্ণনা করে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন।
শিশু আনান রহমান ২০১০ সালের ১৪ মে
তার পিতা মোঃ আতিকুর রহমানকে হারিয়ে এতিম হয়। এই শিশু ও তার বিধবা মায়ের অসহায়ত্ব ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার দাদা ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানী বাড্ডা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৯০৬৯ নং সাব কবলা দলিল মূলে ঢাকার জেলার বাড্ডা থানাধীন,পোস্ট অফিস রোডস্থ ৮১৬ নং হোল্ডিস্থ ৫ম তলা বাড়ীর প্রতিটি ৫৫০ বর্গফুট হিসেবে তৃতীয় তলার দুইটি এবং চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটসহ সর্বমোট ৩ টি ফ্ল্যাটসহ সম্পত্তি শিশু আনান রহমানকে দান করেন। এবং দানকৃত ফ্ল্যাট সমূহের দখল আনান রহমানের পক্ষে তার দাদীর বরাবরে বুঝিয়ে দেন। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তার দাদী এবং একই বছরের ২৭ অক্টোবর তার দাদা মৃত্যুবরণ করেন।
পিতার পর দাদা-দাদীর মৃত্যুর পর এতিম শিশু আনান ও তার অসহায় মায়ের ওপর বিভিন্ন নিপীড়ন শুরু করে তার সৎ চাচা মোঃ মতিউর রহমান।
কোনরূপ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই আনানকে দেয়া ফ্ল্যাট ও সম্পত্তির অবৈধ উপায়ে দখল পাশাপাশি অমানুষিক নিষ্ঠুর আচরন চলছে আনান ও তার অসহায় মায়ের ওপর।
এ নিয়ে তারা ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি দায়ের ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি। শুধু তাই নয় তার চাচা নেশা করে বাসায় এসে তার মাকে প্রায়ই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং নানা রকম হয়রানি ও নির্যাতনের চালায়।
তাই নিরুপায় হয়ে বর্তমানে তারা যাযাবরের মত বসবাস করাসহ অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। এমনকি শিশু আনান বনশ্রী আইডিয়েল স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র হওয়া সত্বেও অর্থাভাবে পড়ালেখাও করতে পারছেনা।
দাদার দেয়া ফ্ল্যাটগুলো থেকে পাওয়া ভাড়া দিয়ে তাদের সংসার চলতো। দাদার মৃত্যুর পর সৎ চাচার অবৈধ তৎপরতায় তা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তারা অসহায়। এরই মধ্যে ওই চাচা ফ্ল্যাট গুলো থেকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা ভাড়া তুলে নিজে ভোগ করেছেন এবং এখনো তিনিই তা করছেন।
শিশু আনান স্থানীয়দের কাছে বিচার না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে আকুতি জানিয়ে আজ রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ্যাটর্নি জেনারেল বরাবরে ই-মেইল ও রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আবেদন করেন।
আবেদনের কপি, ই-মেইল ও রেজিস্ট্রী ডাকযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মহাপরিচালক, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) সমাজ সেবা অধিদপ্তর, কাউন্সিলর, ঢাকা উত্তর সিটির ওয়ার্ড নং ৩৭, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-বাড্ডা থানাকে প্রেরণ করা হয়েছে।
শিশু আনান এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে তার সম্পত্তিতে অধিকার ফিরে পাবেন এবং মাকে নিয়ে তার অসহায়ত্ব লাঘব হবে ও তার পড়ালেখা নির্বিঘ্ন হবে বলে আশা পোষন করছেন।
এসএম//
Leave a Reply