Dhaka ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী স্বপনের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

  • Update Time : ০১:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • / ১ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বপন কুমার বিশ্বাসের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে এই আসামিকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের ১৬ অক্টোবর নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার নয়াটোল গ্রামে প্রথম স্ত্রী স্বপ্না ঘোষকে (৩৫) হত্যা করেন তার স্বামী স্বপন কুমার বিশ্বাস। স্বপ্নাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার ঘটনায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। পরে তার গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও পরে পুলিশ হত্যার অভিযোগ আনে এবং ওই বছরের ২৮ নভেম্বর স্বপনকে গ্রেফতার করে। মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত স্বপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন স্বপন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। এরপর জেল আপিল করেন স্বপন।

অর্থের অভাবে মামলা চালাতে পারছেন না উল্লেখ করে সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের কাছে জেল থেকে চিঠি লেখেন স্বপন। দারিদ্রতার কথা উল্লেখ করে স্বপনের প্রেরিত ওই চিঠিতে সাড়া দিয়ে বিশিষ্ট আইনজীকী খন্দকার মাহবুব হোসেন বিনা পয়সায় এ মামলাটি পরিচালনা করেছেন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী শিশির মনির।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

আইনজীবী শিশির মনির সারাদেশকে জানান,বিনা ফিতে আসামি স্বপন কুমার বিশ্বাসের পক্ষে মামলা পরিচালনা করায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান আপিল বিভাগ। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিনা ফিতে তিনি মামলা পরিচালনা করেছেন উল্লেখ থাকবে বলে আপিল বিভাগ জানান।

খন্দকার মাহবুব হোসেন আসামিপক্ষে শুনানিতে বলেন, স্ত্রী স্বপ্না ঘোষকে পূর্বপরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়নি। পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে উত্তেজিত অবস্থায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ কারণে আসামি স্বপন কুমার বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড কোনটাই দেয়া সমীচীন হবে না। এ মামলায় দন্ডবিধির ৩০৪/২ ধারা অনুযায়ী আসামির সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের বেশি হতে পারে না বলে যুক্তি পেশ করেন এ আইনজীবী। আদালত আজ স্বপন কুমার বিশ্বাসের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

ডিএএম/এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী স্বপনের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

Update Time : ০১:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বপন কুমার বিশ্বাসের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে এই আসামিকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের ১৬ অক্টোবর নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার নয়াটোল গ্রামে প্রথম স্ত্রী স্বপ্না ঘোষকে (৩৫) হত্যা করেন তার স্বামী স্বপন কুমার বিশ্বাস। স্বপ্নাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার ঘটনায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। পরে তার গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও পরে পুলিশ হত্যার অভিযোগ আনে এবং ওই বছরের ২৮ নভেম্বর স্বপনকে গ্রেফতার করে। মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত স্বপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন স্বপন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। এরপর জেল আপিল করেন স্বপন।

অর্থের অভাবে মামলা চালাতে পারছেন না উল্লেখ করে সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের কাছে জেল থেকে চিঠি লেখেন স্বপন। দারিদ্রতার কথা উল্লেখ করে স্বপনের প্রেরিত ওই চিঠিতে সাড়া দিয়ে বিশিষ্ট আইনজীকী খন্দকার মাহবুব হোসেন বিনা পয়সায় এ মামলাটি পরিচালনা করেছেন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী শিশির মনির।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

আইনজীবী শিশির মনির সারাদেশকে জানান,বিনা ফিতে আসামি স্বপন কুমার বিশ্বাসের পক্ষে মামলা পরিচালনা করায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান আপিল বিভাগ। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিনা ফিতে তিনি মামলা পরিচালনা করেছেন উল্লেখ থাকবে বলে আপিল বিভাগ জানান।

খন্দকার মাহবুব হোসেন আসামিপক্ষে শুনানিতে বলেন, স্ত্রী স্বপ্না ঘোষকে পূর্বপরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়নি। পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে উত্তেজিত অবস্থায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ কারণে আসামি স্বপন কুমার বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড কোনটাই দেয়া সমীচীন হবে না। এ মামলায় দন্ডবিধির ৩০৪/২ ধারা অনুযায়ী আসামির সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের বেশি হতে পারে না বলে যুক্তি পেশ করেন এ আইনজীবী। আদালত আজ স্বপন কুমার বিশ্বাসের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

ডিএএম/এসএম//