Dhaka ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

ডাঃ নাজনীন হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগেও বহাল

  • Update Time : ১২:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • / ৩ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসক নাজনীন আক্তারসহ তার গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আনা জেল আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

সুপ্রিমকোর্টের মুখপত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সারাদেশকে আজ আদালতের রায়ের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগ ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসক নাজনীন আক্তারসহ তার গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আনা জেল আপিল খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।’

সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র ঘটনার বিবরণী বিষয়ে জানান, ল্যাব এইডের চিকিৎসক ডাঃ নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামানের আপন ভাগ্নে আমিনুলকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে। কিন্তু ২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগিনা অভিযুক্ত আমিনুল। পারুল নামে গৃহকর্মী তা দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন অভিযুক্ত আমিনুল। ঘটনার পর সে বগুড়ায় চলে যান। সেখান থেকে ফরিদপুর গিয়ে শরিফুল নাম ধারন করে কাজ করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০০৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন। পরবর্তিতে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য পাঠানো হয়। দন্ডিত আমিনুলও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে। শুনানি শেষে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করে আমিনুল। শুনানি শেষে আজ ১২ জুলাই আপিল বিভাগ আসামির জেল আপিল খারিজ করে দেন।

ডিএএম/এমএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ডাঃ নাজনীন হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগেও বহাল

Update Time : ১২:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসক নাজনীন আক্তারসহ তার গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আনা জেল আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

সুপ্রিমকোর্টের মুখপত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সারাদেশকে আজ আদালতের রায়ের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগ ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসক নাজনীন আক্তারসহ তার গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আনা জেল আপিল খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।’

সুপ্রিমকোর্ট মুখপাত্র ঘটনার বিবরণী বিষয়ে জানান, ল্যাব এইডের চিকিৎসক ডাঃ নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামানের আপন ভাগ্নে আমিনুলকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে। কিন্তু ২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগিনা অভিযুক্ত আমিনুল। পারুল নামে গৃহকর্মী তা দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন অভিযুক্ত আমিনুল। ঘটনার পর সে বগুড়ায় চলে যান। সেখান থেকে ফরিদপুর গিয়ে শরিফুল নাম ধারন করে কাজ করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০০৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন। পরবর্তিতে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য পাঠানো হয়। দন্ডিত আমিনুলও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে। শুনানি শেষে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করে আমিনুল। শুনানি শেষে আজ ১২ জুলাই আপিল বিভাগ আসামির জেল আপিল খারিজ করে দেন।

ডিএএম/এমএম//