Dhaka ০৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

লকডাউনে আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা

  • Update Time : ০১:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • / ১৬ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
চলমান কঠোর লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় আদালত পরিচালনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।

এর আগে গত ৩০ জুন আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করে ৭ জুলাই ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব অধঃস্তন আদালত/ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এ সংক্রান্ত গত ৩০ জুন জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনার কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী জেলা/মহানগরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ জুলাই থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছেন। এন আই অ্যাক্টসহ যেসব মামলা বা আপিল করার ক্ষেত্রে সুনিদির্ষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সে সব মামলায় শারীরিক উপস্থিতিতে কোর্ট খোলার ৭ দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ রয়েছে মর্মে গণ্য করা যাবে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গনে না আসার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যা সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়াও সীমিত পরিসরে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি পরিচালনা সংক্রান্ত গত ৩০ জুনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনার কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।

বিচারপতিগন, আইনজীবীবৃন্দ, সহায়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিগন নিজ নিজ বাসগৃহ থেকে ভার্চুয়ালি বিচারিক কার্যক্রমে সংযুক্ত হবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে কার্যক্রম চলছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে রয়েছে।

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সাতদিনের সরকারি ‘বিধি-নিষেধ বা কঠোর ‘লকডাউন’ শুরু হয়। এখন এ লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এ সময়ে সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা।

অতি জরুরি প্রয়োজনে ‘বিধিনিষেধের’ সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ রয়েছে।

বিনা কারণে বাড়ির বাইরে গেলেই আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মানুষের চলাচলে ‘বিধি-নিষেধ’ আরোপ করে ২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ডিএএম/এমএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

লকডাউনে আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা

Update Time : ০১:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
চলমান কঠোর লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় আদালত পরিচালনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।

এর আগে গত ৩০ জুন আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করে ৭ জুলাই ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব অধঃস্তন আদালত/ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এ সংক্রান্ত গত ৩০ জুন জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনার কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী জেলা/মহানগরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ জুলাই থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছেন। এন আই অ্যাক্টসহ যেসব মামলা বা আপিল করার ক্ষেত্রে সুনিদির্ষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সে সব মামলায় শারীরিক উপস্থিতিতে কোর্ট খোলার ৭ দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ রয়েছে মর্মে গণ্য করা যাবে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গনে না আসার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যা সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়াও সীমিত পরিসরে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি পরিচালনা সংক্রান্ত গত ৩০ জুনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনার কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।

বিচারপতিগন, আইনজীবীবৃন্দ, সহায়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিগন নিজ নিজ বাসগৃহ থেকে ভার্চুয়ালি বিচারিক কার্যক্রমে সংযুক্ত হবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে কার্যক্রম চলছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে রয়েছে।

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সাতদিনের সরকারি ‘বিধি-নিষেধ বা কঠোর ‘লকডাউন’ শুরু হয়। এখন এ লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এ সময়ে সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা।

অতি জরুরি প্রয়োজনে ‘বিধিনিষেধের’ সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ রয়েছে।

বিনা কারণে বাড়ির বাইরে গেলেই আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মানুষের চলাচলে ‘বিধি-নিষেধ’ আরোপ করে ২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ডিএএম/এমএস//