Dhaka ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

আপিল বিভাগে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম : এক আসামির মৃত্যুদন্ড কমে ১০ বছরের জেল

  • Update Time : ০৪:২৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / ২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গরূপে আজ বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন।

সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সারাদেশকে বলেন, ‘আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ নিজ নিজ বাসগৃহ হতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেছেন।’

মুখপাত্র বলেন, এটর্নি জেনারেল এবং তার অফিসের অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেলগণ নিজ নিজ বাসা হতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীগণ তাদের নিজ নিজ বাসগৃহ হতে শুনানিতে সংযুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ তারাও নিজ নিজ বাসা হতে সংযুক্ত হয়েছেন।

মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান,
আজ আপিল বিভাগে ২টি ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত জেল পিটিশন মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনজীবীগণ আদালত প্রাঙ্গণে না এসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নিজ নিজ গৃহ থেকে শুনানিতে সংযুক্ত হয়েছেন। আদালতে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আসেন নাই এবং তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়ী হতে আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন।

একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ। মামলার সবপক্ষকে শুনে সন্তান হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পিতার সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় আদালত।

ওই হত্যার ঘটনায় ২০০৭ সালের ২ এপ্রিল শিশুটির মা ফাতেমা বেগম তার স্বামী জসীমের বিরুদ্ধে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে আসামি জসীমের মৃত্যুদণ্ড হয়। এর বিরুদ্ধে জসীমের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জসীমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে একই বছর জসীম জেল আপিল করেন। এই জেল আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেয়া হয়। এই আসামি ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তার মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।

করোনায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ।

আজ ভার্চুয়ালি শুনানির শুরুতেই সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের অধিক সংখ্যক বেঞ্চ খুলে দেয়ার কথা বলেন। তখন প্রধান বিচারপতি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিষয়ে এসব কথা বলেন।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আপিল বিভাগে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম : এক আসামির মৃত্যুদন্ড কমে ১০ বছরের জেল

Update Time : ০৪:২৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক:
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গরূপে আজ বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন।

সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সারাদেশকে বলেন, ‘আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ নিজ নিজ বাসগৃহ হতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেছেন।’

মুখপাত্র বলেন, এটর্নি জেনারেল এবং তার অফিসের অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেলগণ নিজ নিজ বাসা হতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীগণ তাদের নিজ নিজ বাসগৃহ হতে শুনানিতে সংযুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ তারাও নিজ নিজ বাসা হতে সংযুক্ত হয়েছেন।

মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান,
আজ আপিল বিভাগে ২টি ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত জেল পিটিশন মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনজীবীগণ আদালত প্রাঙ্গণে না এসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নিজ নিজ গৃহ থেকে শুনানিতে সংযুক্ত হয়েছেন। আদালতে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আসেন নাই এবং তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়ী হতে আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন।

একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ। মামলার সবপক্ষকে শুনে সন্তান হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পিতার সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় আদালত।

ওই হত্যার ঘটনায় ২০০৭ সালের ২ এপ্রিল শিশুটির মা ফাতেমা বেগম তার স্বামী জসীমের বিরুদ্ধে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে আসামি জসীমের মৃত্যুদণ্ড হয়। এর বিরুদ্ধে জসীমের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জসীমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে একই বছর জসীম জেল আপিল করেন। এই জেল আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেয়া হয়। এই আসামি ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছেন। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তার মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।

করোনায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ।

আজ ভার্চুয়ালি শুনানির শুরুতেই সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের অধিক সংখ্যক বেঞ্চ খুলে দেয়ার কথা বলেন। তখন প্রধান বিচারপতি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিষয়ে এসব কথা বলেন।

ডিএএম//