Dhaka ০২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

কোপার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

  • Update Time : ১১:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / ০ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক :
কোফায় দাফটের সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠলো বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি আর্জেন্টিনা।

ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিক থেকে গোল এবং বাকি দুটো গোলের পাস বাড়িয়ে নায়ক সেই মেসি।

প্রথমার্ধেই দলকে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি। ২২ মিনিটের মাথায় গোলের সামনে ইকুয়েডরের গোলরক্ষককে হারনান গালিন্দেজ একা পেয়েও বারে মারেন তিনি। নিজেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ২ মিনিটের মধ্যেই আক্রমণে উঠে আসে ইকুয়েডর। ঝেগসন মেন্ডেজের জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

দুই দলই একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে, কিন্তু বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় বার বার। কখনো বল বাইরে মারে, কখনো গোলরক্ষকের হাতে জমা পরে আবার কখনও উড়ে আসা ক্রসে পা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধ যখন গোলশূন্য ভাবেই শেষ হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা, তখনই দুই দলের মধ্যে তফাৎ গড়ে দেন আর্জেন্টিনার রড্রিগো ডি পল।

৪০ মিনিটের মাথায় মেসির বাড়ানো থ্রু বলে ইকুয়েড দলের রক্ষণ কেটে যায়। সেই বল ছিল গঞ্জালেসের উদ্দেশে। কিন্তু গঞ্জালেস সেই বলকে দিশা দেখাতে পারেননি। তাঁকে আটকাতে উঠে আসেন গোলরক্ষক গালিন্দেজ। ফের বল চলে আসে মেসির পায়। এ বার তিনি খুঁজে নেন ডান প্রান্ত দিয়ে উঠে আসা ডি পলকে।

গোল অরক্ষিত রেখে উঠে যাওয়া গালিন্দেজ ফিরতে পারেননি। প্রায় ফাঁকা গোল বল ঢুকিয়ে দেন ডি পল। ওই গোলের পরেই যেন বাঁধ ভেঙে যায় ইকুয়েডর রক্ষণে। আক্রমণ বাড়তে থাকে মেসিদের। ৪৫ মিনিটের মাথায় ফের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। এ বার সুযোগ নষ্ট করেন গঞ্জালেস। মেসির ফ্রি কিকে মাথা ছোঁয়ান তিনি। প্রস্তুত ছিলেন গালিন্দেজ। আটকে দেন সেই আক্রমণ।

ফিরতে বলে ফের শট নেন গঞ্জালেস। এ বারেও ইকুয়েডরের পরিত্রাতা গালিন্দেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে ইকুয়েডরের। একের পর কর্নার পায় তারা। আর্জেন্টিনার রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে। যদিও গোলের মুখ খুলতে পারেনি।

রোববার সার্খিয়ো আগুয়েরো, অ্যাঞ্জেলো দি মারিয়া, অ্যাঞ্জেল কোরিয়াদের প্রথম একাদশে রাখেননি আর্জেন্টিনা প্রশিক্ষক লিয়োনেল স্কালোনি। ইকুয়েডরের আক্রমণ বাড়তে থাকলে ৭০ মিনিটের মাথায় দি মারিয়া এবং গুইডো রডরিগেজকে নামিয়ে মাঝ মাঠের দখল নিতে চায় আর্জেন্টিনা।

স্কালোনির সেই পরিকল্পনা কাজে লাগে। মেসি এবং দি মারিয়ার যুগল বন্দিতে আক্রমণের ঢেউ ওঠে ইকুয়েডরের বক্সে। বক্সের বাইরে থেকে মারা মেসির শট অল্পের জন্য বাইরে না গেলে ২-০ হয়ে যেত ৭৩ মিনিটের মাথায়।

ইকুয়েডরের রক্ষণের ভুলে ২-০ করে আর্জেন্টিনা। গোলরক্ষকের বাড়ানো বল তাঁকেই ফিরিয়ে দিতে গিয়েছিলেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। তাড়া করেন মেসি এবং দি মারিয়া। বলের দখল নেন মেসি। বল বাড়িয়ে দেন মার্টিনেজের উদ্দেশে। সেই বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আর্জেন্টিনা।

দি মারিয়া এবং মেসির জুটিকে আটকাতে তখন নাভিশ্বাস উঠছে ইকুয়েডর রক্ষণে। বক্সের মাথায় দি মারিয়াকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করেন হিনক্যাপি। লাল কার্ড দেখেন তিনি। ফ্রি কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কোপার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

Update Time : ১১:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক :
কোফায় দাফটের সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠলো বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি আর্জেন্টিনা।

ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিক থেকে গোল এবং বাকি দুটো গোলের পাস বাড়িয়ে নায়ক সেই মেসি।

প্রথমার্ধেই দলকে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি। ২২ মিনিটের মাথায় গোলের সামনে ইকুয়েডরের গোলরক্ষককে হারনান গালিন্দেজ একা পেয়েও বারে মারেন তিনি। নিজেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ২ মিনিটের মধ্যেই আক্রমণে উঠে আসে ইকুয়েডর। ঝেগসন মেন্ডেজের জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

দুই দলই একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে, কিন্তু বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় বার বার। কখনো বল বাইরে মারে, কখনো গোলরক্ষকের হাতে জমা পরে আবার কখনও উড়ে আসা ক্রসে পা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধ যখন গোলশূন্য ভাবেই শেষ হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা, তখনই দুই দলের মধ্যে তফাৎ গড়ে দেন আর্জেন্টিনার রড্রিগো ডি পল।

৪০ মিনিটের মাথায় মেসির বাড়ানো থ্রু বলে ইকুয়েড দলের রক্ষণ কেটে যায়। সেই বল ছিল গঞ্জালেসের উদ্দেশে। কিন্তু গঞ্জালেস সেই বলকে দিশা দেখাতে পারেননি। তাঁকে আটকাতে উঠে আসেন গোলরক্ষক গালিন্দেজ। ফের বল চলে আসে মেসির পায়। এ বার তিনি খুঁজে নেন ডান প্রান্ত দিয়ে উঠে আসা ডি পলকে।

গোল অরক্ষিত রেখে উঠে যাওয়া গালিন্দেজ ফিরতে পারেননি। প্রায় ফাঁকা গোল বল ঢুকিয়ে দেন ডি পল। ওই গোলের পরেই যেন বাঁধ ভেঙে যায় ইকুয়েডর রক্ষণে। আক্রমণ বাড়তে থাকে মেসিদের। ৪৫ মিনিটের মাথায় ফের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। এ বার সুযোগ নষ্ট করেন গঞ্জালেস। মেসির ফ্রি কিকে মাথা ছোঁয়ান তিনি। প্রস্তুত ছিলেন গালিন্দেজ। আটকে দেন সেই আক্রমণ।

ফিরতে বলে ফের শট নেন গঞ্জালেস। এ বারেও ইকুয়েডরের পরিত্রাতা গালিন্দেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে ইকুয়েডরের। একের পর কর্নার পায় তারা। আর্জেন্টিনার রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে। যদিও গোলের মুখ খুলতে পারেনি।

রোববার সার্খিয়ো আগুয়েরো, অ্যাঞ্জেলো দি মারিয়া, অ্যাঞ্জেল কোরিয়াদের প্রথম একাদশে রাখেননি আর্জেন্টিনা প্রশিক্ষক লিয়োনেল স্কালোনি। ইকুয়েডরের আক্রমণ বাড়তে থাকলে ৭০ মিনিটের মাথায় দি মারিয়া এবং গুইডো রডরিগেজকে নামিয়ে মাঝ মাঠের দখল নিতে চায় আর্জেন্টিনা।

স্কালোনির সেই পরিকল্পনা কাজে লাগে। মেসি এবং দি মারিয়ার যুগল বন্দিতে আক্রমণের ঢেউ ওঠে ইকুয়েডরের বক্সে। বক্সের বাইরে থেকে মারা মেসির শট অল্পের জন্য বাইরে না গেলে ২-০ হয়ে যেত ৭৩ মিনিটের মাথায়।

ইকুয়েডরের রক্ষণের ভুলে ২-০ করে আর্জেন্টিনা। গোলরক্ষকের বাড়ানো বল তাঁকেই ফিরিয়ে দিতে গিয়েছিলেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। তাড়া করেন মেসি এবং দি মারিয়া। বলের দখল নেন মেসি। বল বাড়িয়ে দেন মার্টিনেজের উদ্দেশে। সেই বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আর্জেন্টিনা।

দি মারিয়া এবং মেসির জুটিকে আটকাতে তখন নাভিশ্বাস উঠছে ইকুয়েডর রক্ষণে। বক্সের মাথায় দি মারিয়াকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করেন হিনক্যাপি। লাল কার্ড দেখেন তিনি। ফ্রি কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি।

ডিএএম//